কিন্তু এই কবিতার যে অংশ পড়িলে সত্যই রোমাঞ্চ হয় তাহা পরের পংক্তিগুলিতে এক মহাপুরুষের কথা,―সে যে কে, আজ আর কোন ভারতবাসীকে তাহা বলিয়া দিতে হইবে না। কবিতার এই অংশের একটু ব্যাখ্যা আবশ্যক। জীবন্ত সমাধি হইয়াছে যে দেশমাতৃকার, তাঁহার সেই সমাধি-গহ্বরের রুদ্ধদ্বার সমীপে পৌঁছিয়া বীর সন্তানগণ এক অপূর্ব্ব দৃশ্য দেখিল―গহ্বর-দ্বারের সেই প্রকাণ্ড প্রস্তর-কপাট কে খুলিয়া ফেলিয়াছে এবং সেই কপাটের উপর দাঁড়াইয়া এক দিব্যদর্শন পুরুষ! সেই পুরুষ তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া যে বাণী উচ্চারণ করিল তেমন বাণী তাহারা পূর্ব্বে কখনো শোনে নাই। সেই আহ্বানবাণী এইরূপ―
‘হের দেখ, জননীর দেহ হ’তে ঘুচিয়াছে প্রেতের বসন
শ্মশান-আগারে,
পিশাচ-প্রহরী যত মন্ত্রৌষধিবশে যেন ঘুমে অচেতন―
স্বপন-বিকারে!
‘হের হেথা শূন্য শয্যা! স্বর্ণজ্যোতি-কিরীটিনী অনিন্দ্যসুন্দরী
নাহি যে শয়ান,
মাতা আর মৃতা নয়! ভুবন-ললাম সে যে রাজ-রাজেশ্বরী!
মুছ দু’নয়ান!’
নেতাজীর বাণী যাহারা স্বকর্ণে শুনিয়াছে, তাহারাই বলিবে এ