পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব পুরুষ-সূক্ত
১১

শোনা যায়,―বাঁচিয়া উঠেছি তাই মৃতপ্রায়া জননীর বুকে
স্তন্য করি’ পান।

মায়ের মন্দিরে আর হইবে না পশুযাগ―বেদীর পাষাণ
রবে শুভ্র শিলা,
বিদেশ-নদীর কূলে কাঁদিব না―দেশে হেথা আলোর নিশান,
দেবতার লীলা!

 আজ এ দেশে যাহা ঘটিতেছে তাহার সহিত মিলাইয়া দূরদেশ ও দূর কালের কবির রচিত এই শ্লোকগুলি যখন আবার পড়িলাম, তখন মনে ইহাই হইল যে, এই কবিতায় যে দিব্যপ্রেরণা রহিয়াছে তাহা বেদমন্ত্রের মতই অপৌরুষেয়; ইহাতে দেশ বা কালের খণ্ডদৃষ্টি নাই―যাহা সত্য ও চিরন্তন তাহাই ইহাতে ছন্দোময় হইয়া উঠিয়াছে।

 আর একটি এইরূপ পুরুষ-সূক্ত―খুব নিকটে, আমাদের দেশে, আমাদেরই কবির কণ্ঠে উদ্গীত হইয়াছে; কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের। আমরা সে কবিতা যৌবনে বহুবার পড়িয়াছি―এ কালের পাঠক বোধ হয় আর পড়ে না, কারণ সে কবিতায় আধুনিক ভঙ্গি নাই; বহুবার পড়িয়াছি বলিয়াই ভুলি নাই, তাই আজ এই ঘটনার পর সে কবিতার স্বরূপ আবিষ্কার করিয়া চমকিত হইয়াছি। একদিন যাহা ছিল একটি উৎকৃষ্ট কবিতা মাত্র, আজ তাহাই যেন ভারত-ভাগ্যবিধাতার কঠোচ্চারিত এক দিব্যবাণী, বা দৈববাণী! রাম জন্মিবার আগেই যেমন বাল্মীকির