পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৫৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
জয়তু নেতাজী

কবে প্রাণ খুলে বলিতে পারিব―
পেয়েছি আমার শেষ;
তোমরা সকলে এস মোর পিছে,
নেতা[১] তোমাদের সবারে ডাকিছে―
আমার জীবনে লভিয়া জীবন
জাগো রে সকল দেশ!

নাহি আর ভয়, নাহি সংশয়,
নাহি আর আগু-পিছু।
পেয়েছি সত্য, লভিয়াছি পথ,
সরিয়া দাঁড়ায় সকল জগৎ,
নাই তার কাছে জীবন-মরণ,
নাই নাই আর কিছু!

হৃদয়ের মাঝে পেতেছি শুনিতে
দৈববাণীর মত―
উঠিয়া দাঁড়াও আপন আলোতে,
ওই চেয়ে দেখ কতদুর হ’তে
তোমার কাছেতে ধরা দিবে বলে’
আসে লোক শত শত![২]


  1. মূল কবিতায় ‘নেতা’র স্থলে ‘গুরু’ আছে।
  2. পরে জানিয়াছি, এই কবিতাটি সুভাষচন্দ্রের অতিশয় প্রিয় ছিল, তাঁহার পত্রাদিতে ইহার একাধিক উল্লেখ আছে। ‘তরুণের স্বপ্ন’ নামক পুস্তকের একস্থানে তিনি ইহার কয়েকটি শ্লোক উদ্ধৃত করিয়া বলিয়াছেন―‘কবিরা অন্তর্য্যামী তাই অপরের প্রাণের কথা তাঁহারা এমন করিয়া প্রকাশ করতে পারেন’। সুভাষচন্দ্র তখনও ‘স্বপ্ন’ দেখিতেছিলেন, তাই কবির স্বপ্ন ও তাঁহার নিজের স্বপ্নে এই মিল দেখিয়া আশ্চর্য্য বােধ করেন নাই―তখনও তিনি নিজে জানিতেননা যে, ঐ কবিতা স্বপ্ন নহে, তাঁহারই জীবনচরিত।