স্বামীজী ও নেতাজী
“If there were another Vivekananda he would have understood what Vivekananda has done. And yet―how many Vivekanandas shall be born in time!”
১
এই বাংলাদেশে, উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে, এক মহাপুরুষের আবির্ভাব হইয়াছিল, তাঁহার মত সন্ন্যাসী অথচ দেশ-প্রেমিক ভারতবর্ষে পূর্ব্বে আর দেখা যায় নাই। এই মহাপুরুষ―বিবেকানন্দ। তিনি পৃথিবী ভ্রমণ করিয়াছিলেন, এবং দেশে দেশে তাঁহার গুরুর নব জীবব্রহ্ম-বাদ প্রচার করিয়াছিলেন; এক নব বেদান্তধর্ম্মের প্রচারক বলিয়া দেশ-বিদেশে তাঁহার খ্যাতি হইয়াছিল। তিনি জ্ঞানমার্গী সন্ন্যাসী হইয়াও এক নূতন কর্ম্মমন্ত্রের সাধক ছিলেন, এবং বহুকাল পরে এই ভারতবর্ষে বুদ্ধের আদর্শে এক সন্ন্যাসী-সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ইহা সকলেই জানে, কিন্তু তাঁহার সেই কর্ম্ম-জীবনের মূলে অধ্যাত্ম-পিপাসাকেও পরাভূত করিয়া কোন্ মানব-হৃদয়-বেদনা অনুক্ষণ জাগরূক ছিল, তাহা সেকালে কেহ বুঝিয়াও বুঝিতে পারে নাই; আজ আর একজনকে দেখিয়া আমরা তাহা বুঝিয়াছি―বিবেকানন্দ-জীবনের জীবন্ত ভাষ্যরূপে আজ আমরা নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে দেখিতেছি। আগে স্বামীজীর কথাই