পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৬০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২০
জয়তু নেতাজী

বলি। স্বামীজীকে না বুঝিলে নেতাজীকে বুঝা যাইবে না; আবার নেতাজীকে না দেখিলে স্বামীজীর দর্শনলাভ হইবে না।

 আমি বলিয়াছি, সে যুগে স্বামীজীর জীবনের সেই অপর দিক, তাঁহার সেই মহান্ হৃদয়ের অতি-নিরুদ্ধ বেদনা কেহ বুঝে নাই, তাঁহার সে পরিচয় কেহ ভাল করিয়া পায় নাই। তাহার কারণ, তাঁহার যুগ তখনও আগামী,―আসে নাই। কেবল একজন―যিনি গুরুর হৃদয় আপন হৃদয়ে অনুভব করিয়াছিলেন―সেই পরম সৌভাগ্যবতী গুরুগতপ্রাণা স্বামীজীর মানস-কন্যা ভগিনী নিবেদিতা তাহা বুঝিয়াছিলেন। তাই তাঁহারই মুখে আমরা সে কথা শুনিয়াছি; তিনিই বলিয়াছেন―

 “বাগুরাবদ্ধ সিংহের মত―মুক্তিলাভের জন্য তাঁহার সেই দুরন্ত প্রয়াস, এবং নিরুপায় নিশ্চলতার সেই যে নিদারুণ যন্ত্রণা―ইহাই ছিল আমার গুরুদেবের ব্যক্তি-চরিত্রের বিশিষ্ট পরিচয়। যেদিন জাহাজঘাটে অবতরণ করিয়া আমি তাঁহাকে এ দেশের মাটিতে প্রথম দেখিয়াছিলাম, সেই প্রথম দেখার দিন হইতে―যে আর একদিন গোধুলি-সন্ধ্যায় তিনি তাঁহার দেহটাকে ভাঁজ-করা বসনের মত ত্যাগ করিয়া, এই জগৎ-পল্লীবাস হইতে নিরুদ্দেশ হইয়া গেলেন―সেই দিন পর্য্যন্ত, আমি সর্ব্বদা অনুভব করিতাম যে, তাঁহার জীবনে অপর একটির মত এইটিও ওতপ্রােত হইয়াছিল।”

 ইহাই যে বিবেকানন্দ-জীবনের মূলতত্ত্ব তাহা আমরা বুঝিয়াও বুঝি নাই। ইহার পূর্ব্বে আর একজনের মধ্যে, আর