পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৬২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২২
জয়তু নেতাজী

ক্রমাগত ‘শিবোঽহম্’ ‘শিবোঽহম্’ উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। ব্যাধির নিদান তিনি ভালরূপই বুঝিয়াছিলেন, কিন্তু অবস্থা বুঝিয়া তিনি তখনই কোন উগ্র ঔষধের ব্যবস্থা করেন নাই। একবার হৃদ্‌পিণ্ডের ক্রিয়াটা স্বাভাবিক করিয়া তুলিতে পারিলেই সকল উপসর্গ অন্তর্হিত হইবে, এখন তাড়াতাড়ি হুড়াহুড়ি করিলে সকলই পণ্ড হইবে; এ রোগের চিকিৎসায় বড় ধৈর্য্যের প্রয়োজন; প্রাথমিক চিকিৎসাটাই আসল, সেইটি যদি ধরিয়া যায় তবে আর কোন ভাবনা নাই―রোগীর চেতনা হইবে, সে আপনি উঠিয়া বসিবে; তখন সকল দুর্ব্বলতা ও উপসর্গ আবশ্যকমত অঙ্গচালনার দ্বারা সে নিজেই দূর করিতে পারিবে। ইহাই ছিল তাঁহার আত্মগত বিশ্বাস। ভগিনী নিবেদিতাও তাহাই বলিয়াছেন―

 He felt that impatience was inexcusable. If in twelve years any result were visible, this fact would constitute a great success. The task was one that might well take seventy years to accomplish.”

 স্বামী বিবেকানন্দ স্বজাতির সেই ব্যাধিযন্ত্রণাও যেমন, তাহার হৃত-স্বাস্থ্যকেও তেমনি, নিজ দেহ ও আত্মায় যেরূপ অনুভব করিয়াছিলেন, এ যুগে তৎপূর্ব্বে আর কেহ তেমন করে নাই―এই সত্য সর্ব্বাগ্রে ও সর্ব্বদা স্মরণ রাখিতে হইবে। তাহার কারণও ছিল। প্রথমতঃ তিনি ছিলেন সন্ন্যাসী; সর্ব্বত্যাগী সন্ন্যাসীর যে প্রেম তাহার কি নাম দিব? ভারতবর্ষে প্রেমকে ভগবৎ-প্রেমের সর্বোচ্চ আদর্শে শোধন করিয়া মানুষের