পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৬৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 স্বামীজীর দেশপ্রেমের কথা বলিয়াছি, সেই প্রেমের মূল কোথায় তাহাও বলিয়াছি। এক্ষণে, তাঁহার সেই আদর্শ বা নীতি যে ভ্রান্ত নয়, এবং তাহাই যে আপন নিয়মে যথাকালে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের মধ্যে পূর্ণ ও নিঃসংশয়রূপে প্রকাশমান হইয়াছে, তাহা বুঝিতে হইলে স্বামীজীর সেই মন্ত্রটিকে আর একটু ভাল করিয়া অবধারণ করিতে হইবে। আমাদের ধর্ম্মশাস্ত্রে পতিতআত্মার উদ্ধার নানা উপায়ে হওয়ার বিধি ও উপদেশ আছে―ভক্তি-শাস্ত্রে তাহা একরূপ, শক্তি-শাস্ত্রে তাহা অন্যরূপ। শেষে পৌরাণিক ভাগবত-ধর্ম্মই প্রবল ও লােকায়ত হইয়া উঠিয়াছিল; উহা মূলে ভক্তিমার্গ; ভগবানে আত্মসমর্পণ, আত্মার দৈন্য বা পাপ-স্বীকারই উহার মুক্তিতত্ত্ব। স্বামীজী প্রথম হইতেই ইহার প্রতি শ্রদ্ধান্বিত ছিলেন না, তাঁহার অধ্যাত্ম-পিপাসা ও অন্তর-প্রকৃতি ছিল ইহার বিপরীত। পরে, দেশের ঐ দারুণ দুরবস্থাদর্শনে, তাঁহার সেই স্বকীয় অধ্যাত্ম-দৃষ্টিই আরও নিঃসংশয় হইয়া উঠিল; জাতির উদ্ধারকল্পে, ভক্তি নয়―শক্তিকেই তিনি একমাত্র সাধন-পন্থা বলিয়া দৃঢ়-নিশ্চয় করিলেন। তত্ত্ব বা সাধনমার্গ হিসাবে ভক্তির মূল্য যেমনই হৌক, উহা যে এ যুগের ঐ সঙ্কটে শুধুই নিরর্থক নয়―বরং ক্ষতিকর, এবং শক্তিই যে একমাত্র সত্য-মন্ত্র, তাই তিনি যে-দৃষ্টির দ্বারা উপলব্ধি করিয়া-