পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৬৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২৮
জয়তু নেতাজী

ছিলেন, এবং যেভাবে ও যেরূপে সেই আধ্যাত্মিক শক্তিবাদকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, তাহাও তাঁহার প্রতিভারই নিদর্শন। তিনি যে-শক্তিমন্ত্রের সাধক ও প্রচারক ছিলেন তাহাতে আত্মার জাগরণ আগে, পরে আর সব। তিনি পুনঃ পুনঃ এই কথাই বলিতেন যে, ‘man-making’ বা মানুষ-গড়াই তাঁহার একমাত্র কাজ; তিনি আর কিছুই করিবেন না,―অন্ততঃ সেইকালে আর কিছু করিবার প্রয়োজন নাই। এই মন্ত্রও তিনি পাইয়াছিলেন উপনিষৎ হইতে; তিনি বলিয়াছেন, “I have never quoted anything but the Upanishads, and of the Upanishads it is that one idea, Strength”। উপনিষৎ বটে; কিন্তু তাহা হইতে ঐ মন্ত্রটি এমন করিয়া আর কে উদ্ধার করিয়াছিল? এই বাংলাদেশে উপনিষৎ লইয়া, তাহার সেই ব্রহ্মবাদ লইয়া কত গর্ব্ব কত অভিমানই শুরু হইয়াছিল―সেই অতি দুর্ব্বল ও সংকীর্ণ মনোভাব, প্রেমকে আত্ম-প্রেম এবং শক্তিকে একরূপ মানসিক লীলা-বিলাসে পরিণত করিয়াছিল। স্বামীজীর সেই মন্ত্রও ঐএক উপনিষদের মন্ত্র বটে, কিন্তু মন্ত্র যদি উপযুক্ত আধার না পায় তবে মন্ত্র ও জড়, প্রাণহীন শব্দসমষ্টি মাত্র। মানুষকে আশ্রয় করিয়াই মৃত-মন্ত্র সঞ্জীবিত হয়। স্বামীজী নিজে সেই আধার হইয়া মন্ত্রের নির্ব্বাণ-বহ্নিকে সন্ধুক্ষিত করিয়াছিলেন; উপনিষৎ নয়, বেদান্ত নয়, কোন পুঁথির শ্লোক নয়―সেই মন্ত্র তাঁহারই নিজ-শক্তির বাঙ্ময় মূর্ত্তি। সেই সত্যকে তিনিই অপরোক্ষ করিয়াছিলেন, তাঁহার নিজের সেই প্রতীতিই সেই মন্ত্রকে