পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৬৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
স্বামীজী ও নেতাজী
২৯

এমন শক্তিশালী করিয়াছিল। তিনি যখন বলিলেন―“তোমরা কেহই ক্ষুদ্র নও; ঐ কু-সংস্কার, ঐ কু-বিশ্বাসই সকল ভয় ও সকল দৌর্ব্বল্যের কারণ। Man has never lost his empire. The soul has never been bound. Believe that you are free, and you will be.”―তখন সেই বাণী বাণীহিসাবে নূতন নহে, অতি পুরাতন; কিন্তু তাহার সহিত বক্তার নিজেরই যে অসীম বিশ্বাস যুক্ত ছিল―“আমি বলিতেছি, ইহার মত সত্য আর কিছু নাই”―সেই “Verily I say unto you”―তাহাই সেই বাণীর মন্ত্রশক্তি। তখন সে শুধুই কথামাত্র নয়; তাহা যুক্তি-তর্ক-প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না, একেবারে সোজা প্রাণের গভীরে প্রবেশ করে―দীপ হইতে দীপের মত, শক্তির স্পর্শে শক্তির উদ্দীপন হয়। স্বামীজী শুধু ইহাই করিয়াছিলেন, আর কিছুই করিতে চাহেন নাই―নিজ আত্মার সকল শক্তি দিয়া তিনি নব্যভারতের কানে এই মন্ত্রটি মাত্র উচ্চারণ করিয়াছিলেন। মন্ত্রই বটে! কারণ ইহার ত শুধুই অর্থ নয়―একটা অদ্ভুত চেতন-শক্তি―চমকিত করে; বুদ্ধি নয়―একরূপ বোধির উদ্রেক করে! স্বামীজীর সেই বাণী একই; যত ভঙ্গিতেই উচ্চারিত হউক তাহার অন্তর্গত সত্য যে এক, কিছুতেই তাহা হইতে যে নিষ্কৃতি নাই―ইহাও সেই সত্যেরই একটা বড় প্রমাণ। আমি এখানে কয়েকটি মাত্র উদ্ধৃত করিতেছি, যথা―“He who does not believe in himself is an atheist” (যাহার আত্ম-বিশ্বাস নাই সে-ই প্রকৃত