পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৭১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
স্বামীজী ও নেতাজী
৩১

মুক্তির উপায় চিন্তা করিয়াছিলেন―ইহা তাঁহার ঐ নব-গঠিত সন্ন্যাসীর দলও যেমন বিশ্বাস করিত না, তেমনই, তাঁহার সেই বাণী সেকালের তরুণদের প্রাণে কোন্ ভাবের উদ্দীপনা করিয়াছিল তাহার প্রমাণ বাংলার আধুনিক ইতিহাসের এক অধ্যায়ে চির-উজ্জ্বল হইয়া আছে। তথাপি স্বামীজীর এই প্রেম, এবং তজ্জনিত সেই যাতনার সম্বন্ধে পুনরায় দুইজনের দুইটি উক্তি স্মরণ করাইতেছি; একজনের উক্তি পূর্ব্বে উদ্ধৃত করিয়াছি, আর একজন (মঃ রোলাঁ) বলিয়াছেন―

 “মাতৃভূমি ভারতের সেই সর্ব্বাঙ্গ-নগ্ন মূর্ত্তি―তাহার যত-কিছু শোচনীয়তা―তাঁহার আর অজ্ঞাত রহিল না; অতিশয় হীন শয্যায় শায়িত, সর্ব্বাভরণরিক্ত সেই রাজেন্দ্রাণীর দেহ তিনি স্বচক্ষে দেখিয়াছিলেন, স্বহস্তে স্পর্শ করিয়াছিলেন।”

ভগিনী নিবেদিতার আর একটি কথা এই প্রসঙ্গে স্মরণীয়―

 “কিন্তু তিনি ছিলেন আজন্ম-প্রেমিক―প্রেম ছিল তাঁহার জন্মগত সংস্কার; সেই প্রেম-পূজার দেবী ছিল তাঁহার মাতৃভূমি। তাহার কোন দোষ যে তিনি ক্ষমা করিতে পারিতেন না―তাহার সংসার-বৈরাগ্যকেও একটা গুরুতর অপরাধ বলিয়াই গণ্য করিতেন―তাহার কারণ, তিনি তাহার (স্বজাতির) সেই সকল দোষকে তাঁহার নিজের দোষরূপেই দেখিতেন।”

 মাতৃভূমির এই যে দুর্দ্দশা―ইহার প্রত্যক্ষ বাস্তব কারণ কি, তাহা কি তিনি জানিতেন না? সে কি তাঁহার সেই অসাধারণ জ্ঞান ও প্রেমের অগোচর ছিল? কিন্তু তাঁহার সেই দৃষ্টি অতিশয় ধীর ও গভীর ছিল বলিয়াই তিনি সেই বাস্তব কারণটির