পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৮১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
স্বামীজী ও নেতাজী
৪১

স্বামীজীর এত পরিচয়―তাঁহার জীবন, কর্ম্ম ও বাণীর এত আলোচনা সত্ত্বেও যাহা বুঝি নাই,―কতকটা পরোক্ষ করিতে পারিলেও অপরোক্ষ করিতে পারি নাই―আজ তাহা চিত্তগোচর নয়, চক্ষুগোচর করিতেছি। বিবেকানন্দের সেই বাণী ও কর্ম্ম কি? প্রথমটি এই যে, শত জাতি, শত সমাজ ও শত সম্প্রদায় সত্ত্বেও ভারতবর্ষের আত্মা এক; সেই আধ্যাত্মিক ঐক্যের উপরেই তিনি এ যুগে এক নূতন মহাভারতের ভিত্তি স্থাপনা করিয়াছিলেন; ঐ বাণী তাঁহারই বাণী, উহাই জাতীয়তার মন্ত্রবাণী। এই বাণীই নেতাজীকে অনুপ্রাণিত করিয়া তাঁহার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্ত্তিকে সম্ভব করিয়াছে। স্বামীজীর সেই অধ্যাত্মদৃষ্টিই নেতাজীর বাস্তব দৃষ্টি হইয়া উঠিয়াছে, তিনিও সর্ব্বজাতি ও সর্ব্বসম্প্রদায়ের ভেদ ঘুচাইয়া, স্বামীজীর সেই ধ্যানলব্ধ ‘মহাভারত’কে সাকার করিয়া তুলিয়াছেন। স্বামীজীর অপর শ্রেষ্ঠ কীর্ত্তি কর্ম্মের প্রাথমিক প্রেরণাটি ধরাইয়া দেওয়া। ভারতের মুক্তি-সংগ্রামের সেই প্রত্যক্ষ প্রয়োজনটি এমন করিয়া আর কেহ উপলব্ধি করে নাই। এ বস্তুটি তিনি, ধ্যানে নয়—প্রাণে লাভ করিয়াছিলেন। সে কথা পূর্ব্বে বলিয়াছি, আর একবার বলি। তিনি তখন পরিব্রাজকের বেশে সারা ভারত পর্য্যটন করিতেছিলেন―কপর্দ্দকহীন সন্ন্যাসী, নাম পর্য্যন্ত ত্যাগ করিয়া তিনি সেই বিশাল জনসমুদ্রে যেন আপনাকে আপনি হারাইয়া গিয়াছিলেন। কলিকাতার গুরুভাইগণ কোন সংবাদই জানিতেন না, তথাপি এ বিশ্বাস তাঁহাদের ছিল যে, তিনি হিমালয়ের কোন