পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৯১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৫১

করিবে―উদার ও স্বাধীনচেতা, বিদ্বান্ ও বুদ্ধিমান প্রভুর সেবা করিয়া সে সেই প্রভুর সাযুজ্য লাভ করিবে। সেই স্বাধীনতার আস্বাদ পাইয়া সে আর স্বদেশীয় সমাজশাসন মানিতে চাহিল না, সে-শাসন তাহার অসহ্য হইয়া উঠিল, তাহাই হইল প্রকৃত অধীনতা! অর্থাৎ যে শাসন-বিধি তাহার নিজেরই―তাহার নিজেরই জাতীয় স্বায়ত্ত-শাসন, সেই শাসনের স্বাধীনতা-দুর্গকে এতকাল পরে সে স্বহস্তে ভাঙ্গিয়া ফেলিতে উদ্যত হইল। ক্রমে সমাজের শাসন লঙ্ঘন করিতে সে আর ভয় পাইল না; পূর্ব্বে যে সকল আচরণের জন্য সে সমাজের দ্বারা দণ্ডিত হইত, ক্রমে সে ভয় আর রহিল না। প্রথমতঃ, সে ন্যায়-অন্যায়ের একটা নূতন মানদণ্ড, ইংরেজীশিক্ষার আশীর্ব্বাদে লাভ করিয়াছে; দ্বিতীয়ত, ইংরেজের আইন তাহার সেই স্বাতন্ত্র্যরক্ষার সহায়, সেই আইনের দ্বারা সে মূর্খ ও অসভ্য সমাজপতিকে তাহার ঔদ্ধত্যের সমুচিত শাস্তি দিতে পারে। অতিশয় বর্ত্তমানে এ দেশে যে অধর্ম্মাচরণ অতিশয় বৃদ্ধি পাইয়াছে ইংরেজের আইন প্রকারান্তরে তাহার প্রশ্রয়দাতা; একমাত্র সমাজই তাহা দমন করিতে পারিত, কিন্তু সমাজের সেই শাসন-শক্তিও যেমন লুপ্ত হইয়াছে, সঙ্গে সঙ্গে জাতির মেরুদণ্ডও ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। ঐ ইংরেজীশিক্ষা ও ইংরেজের চাকুরীই এজাতির ধর্ম্মনাশ করিয়াছে। গ্রাম-সমাজ ত্যাগ করিয়া দলে দলে সে যখন শহরে আসিয়া ইংরেজের আইনের ছায়ায় স্বাধীনতা ভোগ করিতে লাগিল, তখন হইত, সে নিজের বাস্তুও যেমন, তেমনই―বহু