পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৯৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৫৩

থাকিতে সে কখনও এদেশের প্রভু হইতে পারিবে না―শত মীরকাসেম, শত টিপুসুলতানকে সিংহাসনচ্যুত করিলেও ঐ শক্তিকে সে সিংহাসনচ্যুত করিতে পারিবে না―না পারিলে, এ দেশে রাজত্ব করার যে মূল অভিপ্রায় তাহাও সিদ্ধ হইবে না, ইহা সে মর্ম্মে মর্ম্মে বুঝিয়াছিল। অতঃপর সে কোন্ উপায় অবলম্বন করিল, তাহা পূর্ব্বে বলিয়াছি; ইংরেজের মনস্কামনা পূর্ণ হইল, এ জাতির স্বাধীনতার সেই শেষ আশ্রয়টুকুও আর রহিল না, ঊনবিংশ শতাব্দী শেষ না হইতেই এদেশ সত্যই পরাধীন হইল।

 এখানে একটা কথা আবার বলি। আমি এ জাতির পূর্ণ স্বাধীনতার যে স্বরূপ ও অবস্থার কথা বলিয়াছি, তাহা আজিকার আদর্শে কতটুকু বা কোন্ অর্থে সত্য, সে প্রশ্ন নিতান্তই অবান্তর। স্বাধীনতারও ভিন্ন আদর্শ অবশ্যই আছে; প্রতীচ্য আদর্শ, প্রাচ্য আদর্শ, তথা ভারতীয় আদর্শ যে একরূপ হইবে না, ইহাই সত্য। প্রত্যেক জাতিকে তাহার নিজস্ব ঐতিহ্য়, তাহার সাধনা ও অন্তরলব্ধ নিঃশ্রেয়সের মানদণ্ডে বিচার করা কর্ত্তব্য। মানুষের সকল আদর্শই আপেক্ষিক, কোনটাই নিরপেক্ষ সত্য নহে। স্বাধীনতার আসল অভিব্যক্তি অন্তরে, সেই অন্তরের দিক দিয়া উহার স্বরূপ বিচার করিতে হইবে। প্রত্যেক জাতি বা সমাজ, কোন না কোন উপায়ে তাহার সেই স্বাধীনতা রক্ষা করিয়া থাকে, না পারিলে সেই সমাজ ও জাতি ইতিহাসের পৃষ্ঠা হইতে লুপ্ত হইয়া যায়। ভারতীয় জাতি