পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৯৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৫৭

তাই এতদিন স্বাধীনতাকে একটা বাহিরের অবস্থা বা ব্যবস্থা মনে করিয়া সে যে সকল আন্দোলন করিয়া আসিতেছে তাহার কোনটাই স্বাধীনতা-যুদ্ধ নয়, তাহার নীতিও অন্য নীতি, কিন্তু সে কথা পরে।

 ইতিমধ্যে ইংরেজ তাহার শাসন-যন্ত্রটি এমনই সুদৃঢ় করিয়া তুলিয়াছে যে, তাহা এতটুকু শিথিল হইবার কোন আশঙ্কা আর নাই। এতদিন যেটুকু ভয় বা সংশয় তাহার ছিল―হয় ত’ বা একটু উচ্চ ভাব ও ভাবুকতার মোহও ছিল―নিরন্তর লোভ-বহ্নিতে অযাচিত ইন্ধন লাভ করিয়া তাহা নিঃশেষে লোপ পাইল; এবং উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্দ্ধে নানা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে সে যে সকল অভিনব কলা-কৌশলের অধিকারী হইল, তাহাতে তাহার সেই লুণ্ঠনকার্য্য যেমন নিপুণতর তেমনই নির্বিঘ্ন হইয়া উঠিল। ইংরেজ-শাসনের মূলনীতি―ইংরেজের সেই রাজধর্ম্মের স্বরূপ আমাদের দেশের মহা-মনীষীরাও ধরিতে পারেন নাই; রামমোহন হইতে বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ পর্য্যন্ত কেহই তাহার চরিত্রে সন্দেহ করেন নাই। অথচ ইংরেজের সেই নীতি ক্রমেই অতি সরল ও সুস্পষ্ট হইয়া উঠিতেছিল। রাজ্যশাসন বা প্রজাপালন কখনও তাহার মুখ্য অভিপ্রায় ছিল না,―এ দেশের ধন-হরণই তাহার একমাত্র কাজ, তাহার শাসন-নীতিও সেই এক কার্য্য-সাধনের নীতি। সে প্রথম হইতেই এই জাতির মধ্যে দুইটি ভাগ সৃষ্টি করিল, একভাগে সমগ্র জনসাধারণ, আর এক ভাগে কতকগুলি