এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশ্য। গজনি—কারাগার । ( মামুদ ও একজন পারিষদের প্রবেশ ) (মূচ্ছিত জয়পাল শায়িত), মামু। দাম্ভিক কাফের ! তোর দন্ত সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ হয়েছে, এখন কিছুকাল এইস্থানে তোর দাম্ভিক বীরত্ব প্রকাশ কর । মূচ্ছিত ষ্টয়েছিল, তোর পরম সৌভাগ্য বলতে হবে, এখনও কারাগারের সুখটা জানতে পায় - ছিস না ; মৃচ্ছা তোর বড় উপকার করছে। কিন্তু নিশ্চয় জানিস, যখন মামুদের কারাগারে এসেছিস, তখন আর তোর রক্ষা নাই ! বড় গৰ্ব্ব করে বলেছিলি না, মুসলমান রাজাকে কর দেওয়া বড় অপমানের কথা ? এখন মুসলমানের কারাগারে রয়েছিল, এতে তোর অপমান বোধ হচ্ছে না ? বড় অহঙ্কার করে বলেছিলি না, * আমি তোর মুসলমান ধৰ্ম্মে পদাঘাত করি ?” আমি যদি এখন জোর করে তোকে মুসলমান করি, তা হলে তোর সে অহঙ্কার কোথায় থাকবে ? পারি। ও যদি মুসলমান হতে অস্বীকার হয় তা হলে জোর করবার আবশ্যক কি ? মুসলমান ধৰ্ম্ম ত আর উপাসকের কাঙ্গাল নয় ? মামু। তা ত নয়ই, আর কখন হবেও না—কিন্তু, জয়পালকে উচিত শিক্ষণ দিতে হবে । পারি। শিক্ষা ভাল করে দিতে হবে, হুজুর, আমি নিজে ওর মুখে গোস্ত পুরে দেব। অনঙ্গপাল বড় বীরত্বের সহিত নগর রক্ষা করছে, তাকেও এই রকম করে ধরে এনে, বাপ বেটা, দুজনকেই একেবারে গরুর ঝোল খাইয়ে দেব। منابع মামু। অনঙ্গপালও শীঘ্র এই পথের পথিক হবে। আমার সৈন্যগুলি যুদ্ধ করে করে ভারি হায়রান হয়ে পড়েছিল, তাই তার অল্পে অল্পে ফিরে এল, তা না হলে দেখতে, আজ লাহোরের কি দুৰ্গতি হত ! তুথপোস্য’