এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮. , জয়পাল । [ তৃতীয় দেখি পুত্রবধু-মুখ, স্বর্ণে বিবাহিতা, বসায়ে তোমারে পঞ্চনদ-সিংহাসনে, হরিষে বিদায় নিব সংসারের কাছে । কিন্তু বিধি বাদী মোরে, না পুরিল সাধ ; মনের বাসনা যত রহিল মনেতে, অভিলাষ অভিলাষী রহিল রে মোর । চলিলাম ছাড়ি পৃথুি জনমের মত ;– বৎস ! পিতৃহীন হয়ে কেঁদোনা আমার তরে, নয়নের জলে নিভগ’ওনা ক্রোধানল যবনের প্রতি। বসি সিংহাসনে তুমি প্রজা-বৃন্দে রেখে সদা সুখে ; এবে বৎস, আসি তবে, মনে রেখো,--বিদায় ! বিদায় ! উদ্দেশে জীবিতেশ্বরি তোমার নিকটে নিতেছি বিদায়, দেহ প্রফুল্ল অন্তরে বিদায় আমারে—ওহ। আর না—বিদায় ! নেপথ্যের চতুর্দিকে । মহারাজ ! আমাদের অনাথ করে যাবেন না । মহারাজ ! আপনি আমাদের পিতা ; মহারাজ ! আপনি আমাদের প্রতিপালক। উপলনের দোর ভাঙ্গ—আমরা গিয়ে আমাদের প্রজাবৎসল মহারাজকে দেখব, না হয় তার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আগুনে কাপ দিব, দোর খাল, দোর খোল, দ্বারবান, দোর খোল । - জর। বায়ুর গতিতে আমার চিন্তারোহণের কথা বিস্তৃত হল না কি ? আর না-আর না-মায়াপাশ ছিন্ন করেছি--আর কারও কথা ভাব লা। হে অধিদেৰ! আমারগ্রহণ করা"