পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫-বৰ্ত্তক-জাতক । e তখন দুই হাতে ঐ মৎস্য ধারণ করিয়া বোধিসত্ত্ব নদীতীরে উপবেশন করিলেন এবং বলিলেন, “ভাই মৎস্য, আজ আমি যদি তোমায় দেখিতে না পাইতাম, তাহা হইলে তোমার নিশ্চয় মরণ হইত। অতঃপর কামপ্রবৃত্তি পরিহার কর।” এই উপদেশ দিয়া তিনি মৎস্যটাকে নদীতে ছাড়িয়া দিলেন এবং নগরে ফিরিয়া গেলেন । [সমৰগান—হে কামমােহিত ভিক্ষু, তখন তোমার পত্নী ছিলেন সেই মৎসী, তুমি ছিলে সেই মৎস্ত এবং আমি ছিলাম রাজপুরোহিত। ] \OC-3-ਫਣ5 | [ শান্ত মগধরাজ্যে ভিক্ষাচৰ্য্যা করিবার সময় দাবাগ্নিনির্বাণ উপলক্ষে এই কথা বলেন । মগধরাজ্যে ভিক্ষাচৰ্য্যা করিবার সময় এক দিন প্ৰাতঃকালে শাস্তা কোন গ্রামে ভিক্ষা করিতে গিয়াছিলেন। তথা হইতে ফিরিবার পর আহারান্তে তিনি পুনর্বার ভিক্ষুগণ-পরিবৃত হইয়া পথে বহির্গত হইলেন। এই সময়ে ভয়ঙ্কর দাবাগ্নি উত্থিত হইল। শাস্তার অগ্রে ও পশ্চাত্ত্বে বহু ভিক্ষু ছিলেন। দাবানল চতুদিকে ভীষণ ধূমজ্বালা বিস্তার করিয়া অগ্রসর হইতেছে দেখিয়া কতিপয় পৃথগুজন ভুঙ্গু * প্রাণভয়ে নিতান্ত ব্যাকুল হইয়া পড়িল এবং DDDB BDBBSeBD DDB LBLD DDDDS DBB BDB DB BDDtB DtgS DD DBD DDBBDB BDBDBH DDg হইতে পরিবে না।” অনন্তর এই উদ্দেশ্যে তাহারা অরণি দ্বারা + অগ্নি উৎপাদন করিতে প্ৰবৃত্ত হইল। ইহা দেখিয়া অপর ভিক্ষুরা কহিলেন, “তোমরা কি করিতেছি? যাহারা গগনমধ্যস্থ চন্দ্ৰ দেখিতে পায় না, পূৰ্বমুখে থাকিয়াও উদীয়মান সহস্ররশ্মিকে দেখিতে পায় না, বেলাভূমিতে দাড়াইয়াও সমুদ্র দেখিতে পায় না, কিংবা সুমেরুর নিকটে অবস্থিত হইয়াও সুমেরু দেখিতে পায় না, তাহদের যে দশা, তোমাদেরও দেখিতেছি সেই দশা ; নচেৎ যিনি দেব ও মানবের মধ্যে অগ্রগণ্য এমন সম্যকসম্বুদ্ধের সঙ্গে বিচরণ করিবার সময়েও “প্ৰত্যাগ্নি প্ৰজ্বলিত কর” বলিবে কেন ? তোমরা নিশ্চয় বুদ্ধের শক্তি জান না। চল, সকলে তাহার নিকট যাই।” তখন অগ্র ও পশ্চাতের সমস্ত ভিক্ষু একত্র হইয়া দশাবলকে বেষ্টন করিয়া দাড়াইলেন। ভিক্ষুদিগকে সমবেত দেখিয়া শান্ত এক স্থানে স্থির হইয়া রহিলেন। এদিকে তাহাদিগকে গ্ৰাস করিবার নিমিত্তই যেন সেই দাবানল ভীষণ গর্জন করিতে করিতে অগ্রসর হইতে লাগিল ; কিন্তু তিনি যেখানে অবস্থিতি করিতেছিলেন, তাহার ষোল করীস টু নিকটে আসিবামাত্ৰ উহ থামিল এবং তুণোন্ধা জ্বালাইয়া উহা যেমন জলে ডুবাইলে তৎক্ষণাৎ নির্বাপিত হয়, ঐ অগ্নিও সেইরূপ নিমেষের মধ্যে নিবিয়া গেল ; তথাগতের চতুষ্পাশ্বস্থ বত্রিশ করীস পরিমিত ক্ষেত্রে ইহার কোন প্রভাবই লক্ষিত হইল না । এই অদ্ভুত ঘটনা দেখিয়া ভিক্ষুগণ শান্তার মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিলেন। তাহারা বলিতে লাগিলেন, “আহো, বুদ্ধের কি মহিয়সী শক্তি ; অচেতন অগ্নি পৰ্য্যন্ত ইহার মৰ্য্যাদা লঙ্ঘন করিল না। জলনিমগ্ন তৃণোস্কার ন্যায় পালকের মধ্যে নিবিয়া গেল !” তাহাদিগের কথা শুনিয়া শাস্তা বলিলেন, “ভিক্ষুগণ, এই স্থানে আসিয়া যে দাবাগ্নির নির্বাণ হইল, তাহা আমার বর্তমান ক্ষমতাজনিত নহে। ইহা আমার পূর্বজন্মার্জিত সত্যবলের ফল। বৰ্ত্তমান কল্পে এই স্থান কখনও অগ্নিদগ্ধ হইবে না ; ইহা একটী কল্পস্থায়ী প্রাতিহাৰ্য্য।” $ এই কথা শুনিয়া আয়ুষ্মান আনন্দ সংঘাটী চারি ভাঁজ করিয়া শাস্তার জন্য সেই স্থানে আসন করিয়া দিলেন ; শান্ত তদুপরি, পৰ্য্যন্ধবন্ধে উপবেশন করিলেন ; ভিক্ষুরা তাহাকে পরিবেষ্টন করিয়া বসিলেন এবং “দয়া করিয়া আমাদের অবগতির জন্য এই বৃত্তান্ত বলুন” এই প্রার্থনা করিলেন। তখন শান্ত সেই অতীত কথা বলিতে লাগিলেন :-] পুরাকালে মগধরাজ্যের ঠিক এই স্থানেই বোধিসত্ত্ব বৰ্ত্তকরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। অণ্ড ভেদ করিয়া বহির্গত হইবামাত্রই তাহার দেহ বৃহৎকন্দুকপ্ৰেমাণ হইয়াছিল। তঁহাকে

  • ধাহাদের কোনরূপ আধ্যাত্মিক উন্নতি হয় নাই, এবংবিধ ভিক্ষুরা “পুথিগািজন” নামে অভিহিত হইত। * যে কাষ্ঠখণ্ডৰয় ঘর্ষণ করিলে অগ্নি উৎপন্ন হয়। এই উদ্দেশ্যে অশ্বখ বা গণিয়ারি কাষ্ঠ ব্যবহৃত হইত। ইহার এক খণ্ডকে অধরারণি ও অপর খণ্ডকে উত্তরারণি বলে।

• : ধাঙ্ক্যাদি মাপিবার এক প্রকার পাত্র ; (, এখানে):ঐ পরিমাণে ধান্য যতটা ভূমিতে বপন করা যায়। ও অমণে এক করীস ; এক অন্মণ ধান প্ৰায় ৩ মণ হইবে। $ নলপানাজাতক (২• ) দ্রষ্টব্য। চারিয়া পিটকেও এই আখ্যায়িকা দেখা যায়।