পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

文。 vsfifty . হৃদয় মুগ্ধকর মানব প্ৰাণের স্বাভাবিক ছবি ! বেদ মন্ত্রকার কবিগণ বর্ষাকালের ভেকের ক্রো কী ধ্বনির মধ্যেও এক প্রকার অপূর্ব মাধুরী অনুভব করিয়াছিলেন। এই সকল বেদমন্ত্রকে কবির কবিত্ব বল,বিহঙ্গমের স্বাধীন কণ্ঠের সঙ্গীতধ্বনি বল, সৌন্দৰ্য্য, মোহিত-মানব-হৃদয়ের উচ্ছলিত ভাবরাশি বল, ঠিক বলা হইল, কিন্তু শাস্ত্ৰ বল, ধৰ্ম্মোপদেশ বল, লৌকিক কি আধ্যাত্মিক বিধি ব্যবস্থা বল ঠিক বলা হইল না । যাহা হউক আৰ্য্যগণ পুণ্যারণ্য ভারতক্ষেত্রে যখন তাহাদের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্ৰবৃত্ত হইলেন, তখন তাহদের মন্ত্ৰ সকলের ংখ্যা দিন দিন বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল । সে সময়ে বর্ণমালার স্বষ্টি হয় নাই সুতরাং এক শ্রেণীর লোককে যত্ন সহকারে এই সকল মন্ত্র অভ্যাস করিয়া রাখিতে হইত। ইহঁরা বালক কাল হইতে ঐ সকল মন্ত্র কণ্ঠস্থ করিতেন ; যজ্ঞস্থলে ঐ সকল মন্ত্র উচ্চারণ করিয়া হোম কাৰ্য্যের সহায়তা করিতেন । বর্তমান সময়ে আপনার পল্লীগ্রামে অনেক ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের সস্তান দেখিয়া থাকিবেন, ইহঁরা বর্ণজ্ঞান-বিহীন, ংস্কৃত ভাষার বিন্দু বিসর্গ জানেন না ; অথচ ইহঁরা দশকৰ্ম্মান্বিত অর্থাৎ গৃহস্থের গৃহে যে সকল নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়ার অনুষ্ঠান হয় তাহার সমুদায় প্রকরণ ইহঁরা কণ্ঠস্থ করিয়া রাখিয়াছেন। জিজ্ঞাসা করুন পিতৃশ্ৰাদ্ধ কিরূপে করিতে হয় ? আমনি ইহার শ্রাদ্ধের মন্ত্র সকল অনর্গল। বলিয়া যাইবেন। মধুবান্ত ঋতায়তে প্রভৃতি মন্ত্র