পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ । २१ পাব্লিবে।” ক্ষত্ৰিয় ক্ষত্ৰিয়ের কন্যা এবং বৈশ্য শূদ্রের কন্যা বিবাহ করিতে পারবে ; এবং ব্ৰাহ্মণ চারি জাতিরই কন্যা বিবাহ করিবে।” উচ্চ জাতীয় পুরুষে নিম্ন জাতীয় কন্যাতে যে বিবাহ হইত, তাহাকে অনুলোম বিবাহ বলিত কিন্তু উচ্চ জাতীয় কন্যা ও নিম্ন জাতীয় পুরুষে যে বিবাহ হইত। তাহা প্ৰতিলোম বিবাহ । প্ৰতিলোম বিবাহ নিতান্ত নিষিদ্ধ বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছে, কিন্তু মনু অনুলোম বিবাহের বিধি দিয়া গিয়াছেন। বিভিন্ন বর্ণের মধ্যে বিবাহের যেমন প্ৰমাণ পাঠকগণ পাইলেন সেই রূপ পরস্পরের অন্ন গ্রহণেরও প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই প্রমাণের জন্য বড় অধিক দূরে যাইতে হইবে না। যে পরাশর স্মৃতি কলির ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ বলিয়া উক্ত হইয়াছে তাহাতেই আছে :- ‘ক্ষত্রিয়োবাপি বৈশ্লোব ক্রিয়াবস্তেী শুচিব্ৰতো । । তদুগৃহেষু দ্বিজৈৰ্ভোজ্যং হব্যাকব্যেয়ু নিত্যশ: ||” অর্থঃ-যে সকল ক্ষত্ৰিয় ও বৈশ্য ক্রিয়াবান ও শুচিব্ৰতধারী তাঁহাদের গৃহে ব্ৰাহ্মণের সর্বদা হব্যে কব্যে ভোজন করিবে । যাহা হউক জাতিভেদের কঠোর নিয়ম সকল সৃষ্টি হইতে অনেকদিন লাগিয়াছিল । নিতান্ত বৈরভাব ও দ্বেষাদ্বেষি না থাকিলে পরস্পর আহার বিহার ও বিবাহ সম্বন্ধ । রহিত হয় না। বুৰ্ত্তমান সমাজে আমরা কি দেখি ? দুই গৃহস্থের মধ্যে যখন মনান্তর উপস্থিত হয়, যখন কোন কারণে