আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেণ্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট জাতিসংঘ নামটি প্রস্তাব করেন। ১৯৪২ সালে যখন ২৬টি দেশের প্রতিনিধিগণ জাতিসংঘের তরফ থেকে ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদান করেন, এই নামটি তখনই প্রথম সরকারিভাবে ব্যবহৃত হয়। সানফ্রানসিসকো সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিবর্গ প্রেসিডেণ্ট রুজভেল্টের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাঁর প্রদত্ত নামটি গ্রহণে সম্মত হন। রুজভেল্ট জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষরের কয়েক সপ্তাহ আগে মৃত্যুবরণ করেন।
না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে লিগ অব নেশন্স বা জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের মতো এরও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব শান্তি বহে রাখা।
দুর্ভাগ্যবশত সকল জাতি এই লিগে যোগদান করেনি। উধারণস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র কখনো এর সদস্য হয়নি। যারা পরে যোগদান করেছিল তারা সদস্যপদ প্রত্যহর করেছে অথবে কোনো সিদ্ধহন্ত গ্রহণে সম্মত হয়নি। নিজস্ব সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার কোনো ক্ষমতা লিগের ছিল না। লিগের ব্যর্থতা বিরোধের গতিকে ত্বরান্বিত করে, পরিণামে দাঁড়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। লিগ নিজস্বভাবে ব্যর্থ হলেও এটি একটি বৈশ্বিক সংগঠনের স্বপ্নের সূচনা করে, যার ফলে জাতিসংঘের আবির্ভাব ঘটে।
জাতিসংঘ সদশর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত। লণ্ডনে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের প্রথম সভায় এই মর্মে গৃহীত হয় যে, সংগঠনটির স্থায়ী দপ্তর হবে যুক্তরাষ্ট্রে। যে চারটি অট্টালিকা নিয়ে বর্তমানে জাতিসংঘ সদর দপ্তর, সেগুলো হলো নিচু গম্বুজবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদ ভবন,