পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ

গিরিশচন্দ্র ঘোষ (সাংবাদিক) প্রভৃতি ছিলেন ঐ আন্দোলনের মুখপাত্র। তারপর আসিল ‘ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘ইণ্ডিয়ান লীগ’। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু, মনোমোহন ঘোষ, দুর্গামোহন দাস, যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, শিশিরকুমার ঘোষ, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রভৃতি ছিলেন ইহার নেতা। ১৮৮৫ সালে কংগ্রেসের জন্ম হয়। কংগ্রেস ঐ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনেরই উত্তরাধিকারীরূপে দেখা দেয় এবং স্বদেশী আন্দোলনের সময় পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক পন্থা বা ভিক্ষা-নীতিই ছিল তাহার প্রধান পন্থা। এই কারণেই আত্মশক্তির সাধক ও স্বাধীনতার আদর্শবাদী বাঙলার কবি ও সাহিত্যিকেরা ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, কংগ্রেস প্রভৃতির প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন ছিলেন না। তাঁহারা ঐ ভিক্ষা-নীতিকে বরং নানাভাবে ব্যঙ্গ বিদ্রূপই করিতেন। প্রকৃতপক্ষে বাঙলা সাহিত্যের সূতিকাগারেই স্বাধীনতা আন্দোলন তথা স্বদেশী আন্দোলনের জন্ম এবং বাঙলার কবি ও সাহিত্যিকেরাই ধাত্রীর ন্যায় ইহাকে পালন করিয়া আসিয়াছেন। এজন্য কেবল বাঙলা দেশ নয়, সমগ্র ভারতবর্ষই ইহাদের নিকট ঋণী। পূর্বোল্লিখিত বিখ্যাত হিন্দু মেলায় বাঙলার কবি ও সাহিত্যিকেরাই ছিলেন কর্ণধার। তাই ইহার মধ্য দিয়া আত্মশক্তি সাধনার সুরই ফুটিয়া উঠিয়াছিল।

 কবি রবীন্দ্রনাথ পূর্বগামী বাঙলা সাহিত্যিকদের নিকট হইতেই আত্মশক্তির সাধনার এই ধারা লাভ করিয়াছিলেন,—এ