পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ

প্রকাশ করা যায় না। সপ্তাহের পর সপ্তাহ এই পত্রিকায় বিপিনচন্দ্র নূতন নূতন চিন্তা ও ভাবের অবতারণা করিয়া যুবক বাঙলাকে স্বদেশী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করিয়া তুলিতেছিলেন।

 স্বদেশী যুগের এই ঊষার আচার্য সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও তাঁহার প্রতিষ্ঠিত “ডন সোসাইটি”র নাম বাঙলার জাতীয় জীবনে অমর হইয়া থাকিবে। এই “ডন সোসাইটি” ছিল স্বদেশসেবার পাঠশালা। দেশকে কি করিয়া সেবা করিতে হয়, স্বদেশী শিল্পের পুনরুদ্ধার কোন্ পথে হইতে পারে আচার্য সতীশচন্দ্রের নেতৃত্বে “ডন সোসাইটি”র সদস্যেরা সেই সব কথা লইয়া আলোচনা ও গবেষণা করিতেন এবং হাতে-কলমে কাজ করিতেন। ১৯০২—০৩ সাল, তখনও স্বদেশী আন্দোলন আরম্ভ হয় নাই, কিন্তু “ডন সোসাইটি”র সদস্যেরা নিজেরা মোটা স্বদেশী কাপড় পরিতেন এবং উহা বিক্রয় করিয়া বেড়াইতেন। “ডন সোসাইটি”র গৃহে তাঁত বসাইয়া গামছা চাদর প্রভৃতি বোনা হইত, দেশলাই তৈয়ারী করিবার চেষ্টাও হইত। “ডন সোসাইটি”র ‘দি ডন’ নামক একখানি মুখপত্র প্রকাশিত হইত এবং সদস্যেরাই উহা পরিচালনা করিতেন। ঐ পত্রে স্বদেশী শিল্প গঠন, পল্লী সংগঠন প্রভৃতি সম্বন্ধে বহু তথ্যপূর্ণ মূল্যবান প্রবন্ধ প্রকাশিত হইত। আজ বাঙলা দেশের জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সব প্রসিদ্ধ কর্মীকে দেখিতে পাই, তাঁহাদের মধ্যে অনেকে তখনকার দিনে “ডন সোসাইটি”র সদস্য এবং