পাতা:জাতীয় সাহিত্য - আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

॥৶৹

দিকে চলিতেন। কোনও সংকীর্ণতা, দৈন্য, তুচ্ছ স্বার্থাভিসন্ধি তাঁহাকে ক্ষণকালের জন্যও বিচলিত করিতে পারে নাই। কোনও বিরাট্‌ প্রতিষ্ঠান গঠন করিতে হইলে, কোনও উদার কল্পনাকে রূপ দান করিতে হইলে যে সকল গুণের সমবায় আবশ্যক, তাহা তাঁহাতে পূর্ণ মাত্রায় বর্ত্তমান ছিল। বিপুল কল্পনাশক্তি ও তাহাকে মূর্ত্তি দান করিতে হইলে যে অক্লান্ত সাধনা আবশ্যক, সৃষ্টি করিবার সামর্থ্য ও তাহাকে শ্রেয়স্কর পন্থায় পরিচালিত করিতে হইলে যে প্রতিভার আবশ্যক, আশুতোষের চরিত্রে তাহার অপূর্ব্ব মিলন ঘটিয়াছিল।

 আশুতোষ অসাধারণ প্রতিভা লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এবং এই প্রতিভা তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে অকাতরে প্রয়োগ করিয়াছিলেন। তাহার ফলে আজ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জগতের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্যতম। আশুতোষ ২৫ বৎসর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যপদে মনোনীত হয়েন এবং ১৮৮৯ সাল হইতে জীবনের শেষ দিবস (১৯২৪ খৃষ্টাব্দ, ২৫শে মে) পর্য্যন্ত এই সদস্যপদের অধিকারী ছিলেন। এই দীর্ঘকালের মধ্যে তিনি একাধিক বার ভাইস্-চান্সেলারের পদে বৃত হইয়াছিলেন। ১৯০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকল্পে যখন আইন প্রণীত হয়, তখন তাহার জন্য যে সমিতি গঠিত হয় আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ব্যবস্থাপক-সভার সদস্যরূপে সেই সমিতির সভ্য মনোনীত হয়েন। এই আইন অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল নূতন বিধি (Regulations) প্রস্তুত হয়, তাহা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হইয়াছিল। ১৯০৬ হইতে ১৯১৪ সাল পর্য্যন্ত তিনি ভাইস-চান্সেলারের দায়িত্বপূর্ণ কার্য্য অসামান্য দক্ষতার সহিত সম্পাদন করেন। এই সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালর অভূতপূর্ব্ব