পাতা:জাতীয় সাহিত্য - আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৸৶৹

 মাতৃভাষার সাহায্য ব্যতীত লোকশিক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ, ইহা তিনি বুঝিয়াছিলেন। বঙ্গদেশে জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার করিতে হইলে বঙ্গভাষার সাহায্যেই করিতে হইবে, অন্য কোনও পন্থাই নাই। এই সত্যটি হৃদয়ঙ্গম করিয়াই আশুতোষ বাঙ্গালা ভাষাকে শিক্ষার বাহন করিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন। সার আশুতোষের অঙ্গুলিনির্দ্দেশ অনুসরণ করিয়া বর্ত্তমানে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বঙ্গভাষা (ও অন্যান্য দেশীয় ভাষা) শিক্ষা ও পরীক্ষার বাহন হইবে, ইহা বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্তৃক স্থিরীকৃত হইয়াছে।

 বঙ্গভাষার উন্নতিকল্পে যে সকল চেষ্টা হইয়াছে, তাহার প্রসঙ্গে বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের নাম পূর্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। সাহিত্য-পরিষৎ এই সম্বন্ধে জনমতকে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য বঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সম্মিলনের ব্যবস্থা করেন। এই সম্মিলনের নাম ‘বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলন’ রাখা হয়। বঙ্গের বাহিরেও এই সম্মিলনের অধিবেশন হইয়াছে। বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের প্রথম অধিবেশন ১৩১৩ সালে (১৯০৬ খৃষ্টাব্দে) কাশিমবাজার রাজ-বাটীতে আহূত হয়। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন। সাহিত্য-সম্মিলনের দশম অধিবেশন হয় ১৩২৩ সালে (১৯১৬ খৃষ্টাব্দে) বাঁকিপুরে! এই অধিবেশনের মূল সভাপতি ছিলেন সার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এবং সাহিত্য-শাখার সভাপতি-পদে বৃত হইয়াছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন। বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের দ্বাদশ অধিবেশন হয় ১৩২৬ সালে (১৯১৯ খৃষ্টাব্দে) হাওড়ায়। বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের আদর্শে রঙ্গপুরের শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী-প্রমুখ ব্যক্তিগণের চেষ্টায় ‘উত্তরবঙ্গ সাহিত্য-সম্মিলন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৬ সালে সার