এক দল মানুষ অথবা একটা মানুষ যে কত কাজ করিতে পারে, তাহা যদি মানুষ নিজে বুঝিতে পারিত, আত্মসত্তায় যদি মানুষ বিশ্বাস করিতে জানিত, তবে নরজাতির অবস্থা হয় ত আরও বিস্ময়করী হইত, জগৎ মধুময় হইত।
আজ এক বার ক্ষণকালের জন্য আমাদিগকে বঙ্গের মানচিত্র গুটাইয়া রাখিয়া, ভারতের মানচিত্রে দৃষ্টিসংযোগ করিতে হইবে। কলবাহিনী ভাগীরথীর তীরে দাঁড়াইয়া এক বার নর্ম্মদা-সিন্ধু-কাবেরীর স্রোতে মানস স্নান করিতে হইবে। শ্যামা বঙ্গভূমির কোলে বসিয়া শৌর্য্যবীর্য্যের সমাধিক্ষেত্র রাজপুতানার গম্ভীর মূর্ত্তি দেখিতে হইবে। কি করিলে, কোন্ পথে চলিলে, আমার বঙ্গভারতীকে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সাজসজ্জায় মনের মত করিয়া বিভূষিত করিতে পারিব, কি করিলে আমার বঙ্গসাহিত্যকে কালে ভারত-সাহিত্যে পরিণত করিতে পারিব, সকল প্রদেশের মনীষাফলে বঙ্গভূমিকে ফলবতী করিতে পারিব,—এই চিন্তা আমাদিগকে করিতে হইবে। আমি বাঙ্গালী যেমন মহারাষ্ট্রীয় জ্ঞান-গরিমায় আমার মাকে সাজাইতে চাই, তেমনই আবার বাঙ্গালার মনীষা-সম্পদে তৎ তৎ প্রদেশ কি উপায়ে সম্পন্ন হইতে পারে, সে কথাও আমাকে ভাবিতে হইবে। একাকী দীর্ঘপথ চলা বড় দায় ও বিরক্তিজনক, দশজনকে লইয়া—আমার দেশী-