পাতা:জাতীয় সাহিত্য - আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

॥০

পদার্থ-বিজ্ঞানে এম. এ. পরীক্ষা পাস করেন। তিনি ১৮৮৬ সালে ২২ বৎসর বয়সে গণিতে ও পদার্থ-বিজ্ঞানে প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন এবং ইহার দুই মাস পরেই সাহিত্যে প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি পরীক্ষা দিবার জন্য আবেদন করেন। আশুতোষের যেরূপ অসাধারণ প্রতিভা ছিল, তাহাতে তিনি ঐ বৃত্তির জন্য প্রার্থী হইলে অন্য ছাত্রের পক্ষে উহা লাভ করা কঠিন হইত। বিশ্ববিদ্যালয় এই বিষয়ে তাঁহার প্রার্থনা উপেক্ষা করিলেও, তাঁহার অনন্যসাধারণ প্রতিভার দাবী অগ্রাহ্য করিতে পারে নাই; আশুতোষ যে বৎসর গণিতে এম. এ. পাস করিলেন, তাহার পরবৎসরই এম. এ. পরীক্ষার পরীক্ষক মনোনীত হইয়াছিলেন। গণিতে তাঁহার যে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি ছিল, তাহা ভারতের বাহিরেও স্বীকৃত হইয়াছিল। এডিনবরার রয়েল সোসাইটী, আয়ার্‌লণ্ডের রয়েল একাডেমি এবং আরও বহু গণিত-সভা তাঁহাকে সভ্যপদে বরণ করিয়াছিল। গণিত ভিন্ন অন্য বিষয়েও আশুতোষের প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। ঐ সকল বিষয়েও তিনি যথেষ্ট কৃতিত্ব অর্জ্জন করিয়াছিলেন।

 আশুতোষ যদি সারাজীবন গণিতের চর্চ্চা করিয়া কাটাইতেন, তাহা হইলেও তিনি যে বিশ্ববিশ্রুত কীর্ত্তির অধিকারী হইতে পারিতেন, সে বিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠা অপেক্ষা তিনি তাঁহার দেশের ও জাতির সেবাই জীবনের ব্রত বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টার সার আল্‌ফ্রেড্ ক্রফ্‌ট্‌ তাঁহাকে প্রেসিডেন্সী কলেজের অধ্যাপকপদে নিয়োগ করিতে চাহিয়াছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন ভাইস্-চান্সেলার সার কোর্ট্‌নে ইল্‌বার্ট তাঁহার উপকার করিতে আগ্রহান্বিত ছিলেন। কিন্তু আশুতোষের লক্ষ্য অনেক উচ্চে