পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বাজমী og স্কুলের বাড়ি ঘর জাপানির যে রকম করেছে আমাদের দেশের স্কুলগুলি তার তুলনায় গোয়াল-ঘর মাত্র। এই সব স্কুল দেখে মনে হচ্ছে দেশে ফিরে গিয়ে কোন রকমে এই রকম সুন্দর বড় বড় স্কুল করে, দেশের ছেলে মেয়েদের এই রকম শিক্ষা দিয়ে, দেশকে এদের মত স্বাধীন করি। কিন্তু হায় এ সব তুরাশা মাত্ৰ ! \ জাপানে সুন্দর সুন্দর ব্ৰঞ্জের (bronze ) ও পিতলের জিনিষ পাওয়া যায়। মিঃ কঁাগাওয়া কিয়োটোতে একটা ভাল দোকানে আমাদের কথা বলে দিয়েছিলেন ; সেই দোকানের একজন লোক আমাদের তাদের দোকানে নেবার জন্য এলো। ব্যবসা কেমন করে চালাতে হয়। এরা তা বেশ বুঝেছে! আমরা বলেছিলাম দু' চার দিন পরে যাব, কিন্তু আজ বিকেলেই সে এসে তার দোকানে যাবার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। আমরা তখন বেড়াতে বেরুচ্ছি, সে জন্য তাকে বলা হলে আমাদের সঙ্গে আসতে। আমরা প্ৰথমে “ট-পট” (teapot ) লেন হয়ে কিয়োমিটুসু মন্দিয়ট দেখে তায় পর ওয়া দোকানে যাব । * আমাদের দেশে হলে দোক্কানি বলে দিত “না। বাবু, আমার সময় নেই ; তোমাদের সঙ্গে ঘুরে মন্দিয় দেখাতে আমার সময় নেই!” জাপানিরা পাকা ব্যবসাদার ; লে লোকটা বিনা, আপত্তিতে খুব আহলাদের সহিত আমাদের Vasaka Pagoda (ইয়াসকু পেগোডা ) ও কিণ্ডমিটুসু মন্দির দেখাতে সঙ্গে যাবে। কল্পে। মন্দির দেখা হলে তার দোকানে গিয়ে জিনিষ দেখা হৰে স্থির হলো। আমরা বেরিয়ে প্রথম ইয়াসকু পেগোডাটা দেখলাম। ভিতরে থেকে দেয় না, বাইরে থেকেই দেখলাম। বাইরে থেকে মামুলি চীনে পেগোড়া যেমন ছবিতে দেখা যায় এটাও তেমূনি। জাপানিদের মন্দির বা পেগোড়াগুলো একটু একঘেয়ে। একটু দেখলে অম্ভগুলো দেখতে ইচ্ছা কয়ে না। ; এগুলোর গঠন-প্ৰণালী ‘একই ধাজের + গ ঘা হোক, এই