পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী ës ys fège আজ সকালে আবার জাহাজ ছাড়লো। নদীতে জলাভাবে প্রায় একটা দিন জাহাজ চলের্নি। ডায়মণ্ড-হারবারের দৃশ্য নাকি বড় সুন্দর। আমার কিন্তু সেটা দেখা হ’ল না। কারণ ছেলের অসুখের জন্য আমাকে সে সময় কেবিনে থাকতে হয়েছিল। এখন জাহাজ যুদ্রের কাছে এসেছে। জাহাজ কেমন হুলছে। দুলুনি এত বেড়ে গেলে যে, রাত্রে শোবার আগে কেবিনের পোর্ট হোল বন্ধ করে দিতে হ’লো, কারণ তা” না হ’লে কেবিনেব ভিতরে জল আসত। 'Rශගු ගුifෆිසt সকালে উঠে পোর্ট হোল খুলে নীল সমুদ্রের দৃশ্য দেখতে লাগিলাম। মনটা বড় উৎফুল্ল হ’লো। এতক্ষণে মনে হ’লো যেন সমুদ্রযাত্রা আরম্ভ হয়েছে। দু'দিন ধরে নদীতে যে রকম আটক পড়েছিলাম তাতে মনের উৎসাহ দমে গিয়েছিল। সকালে স্নান করতে গিয়ে দেখি জলটার একেবারে লোহার মরিচার মত রং হয়েছে। কারণ জিজ্ঞাসা করে। জানা গেল যে, জাহাজ অত্যন্ত দুলেছিল। সেজন্য। জলের ট্যাঙ্কের (Tank) মরিচা জলে মিশে জাহাজের সমস্ত জল লাল করে দিয়েছে। এমন ক্লি খাবার জলেরও সেই অবস্থা । ২১এ এপ্রিল çe এই কয়েক দিনে অনেকগুলি যাত্রীর সঙ্গে আলাপ পরিচয় হ’ল। স্নাত্রে খাবার পর গ্রামোফোন বাজিয়ে প্রায় রোজ রাত্রে কয়েকটা ইংরেজ * মহিলা নাচতেন। তঁদের অদ্ভুত কাপড় ও অদ্ভুত ব্যবহার দেখে আমার কিন্তু অত্যন্ত খারাপ লাগত। আমরা প্রায়ই সঙ্গীত-কক্ষে বেরসিকদের