পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ खाँ भांटम বঙ্গনারী Sto ট্রেনে খাবারের ‘কায়া” (গাড়ী) আছে। একটার সময় ছোট ছোট লাল কাগজ পাওয়া যায়। তাতে টিফিন তৈরি আছে বলে লেখা থাকে। ব্যস, কাজ হয়ে গেল ; কথা বলবার দরকার হল না ! কাগজে ইংরাজি ও জাপানি দুই ভাষাতেই লেখা থাকে। আমরা উঠে গিয়ে মুখ হাত ধুতে স্নানের ঘরে গেলাম। ২াগটা গাড়ি dछे बद्ध থাকে। এক দিকে স্নানের ঘর অন্য দিকে লেভেটারী (পায়খানা ) । স্নানের ঘরে আমাদের দেশের ট্রেনে যেমন কল দেওয়া মুখ ধােবার চিলিমচি থাকে, এখানেও তাই ; তার উপর সাবান ও তোয়ালেও আছে দেখা গেল, এক গাদা ছোট ছোট পরিষ্কার তোয়ালে রাখা হয়, সে গুলি যেমন খরচ হয়ে যায় অমনি লোক এসে সে গুলো নিয়ে যায় । এবং আবার এক তাড়া পরিষ্কার তোয়ালে রেখে যায়। দেখলাম সাবানটা সাধারণ সাবানের মত নয়। জোলো সাবান একটা টিনে রয়েছে; সে টনটীর ঢাকনাতে একটা ছোট ছেদা আছে, সাবান দরকার হলে পাত্ৰটী ওন্টালেই একটু জোলো সাবান ছেদা দিয়ে বার হয়। সেটা জলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলে কিন্তু খুব ফেনা হয়। এই উপায়ে এক লোকের ব্যবহার করা সাবান বা তোয়ালে অন্য লোকের ব্যবহার করতে হয় না। এদের লেভেটারি (পায়খানা) গুলি কিন্তু বড় অপরিষ্কার ও দুৰ্গন্ধময়। এমন দুৰ্গন্ধময় লেভেটারি। আমি আগে কখনও দেখি নাই। এরা ফিনাইল ব্যবহার করে না, ফিনাইল জিনিসটা বােধ হয় এদের জানা নাই। মুখ হাত ধুয়ে ডাইনিং সেলুনে খেতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, সেলুনটা একেবারে লোকে পরিপূর্ণ। ডাইনিং সেলুনের লোকগুলো আমাদের ধূমাগারে একটু অপেক্ষা করতে বলে ; অর্থাৎ এ দলের খাওয়া শেষ হলেই আমাদের খেতে দেবে। ধূমাগারে আরও কতকগুলি জাপানি যাত্রী খাঁদ্বারের অপেক্ষায়: