পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনায়ী ❖። እ¢ኳ” বলে গেছেন যে এখানেই লাঞ্চ খেয়ে যাবেন। আমরা তঁদের জনা অপেক্ষা না করেই লাঞ্চ খেয়ে নিলাম। তিনটায় একটা জাপানি কনসার্ট ছিল। মিঃ মজুমদার আমাদের সেখানে নিয়ে যেতে চাইলেন। মিঃ, সিংরা এলে তাদের সঙ্গে দেখা করে তারপর কনসার্ট শুনতে যাওয়া হবে। প্ৰস্তাব হলো । কিন্তু যখন দুটার পরেও সিং রা এলেন না। 冠f、 স্থির করলেন একটা চিঠি লিখে তঁদের জন্য রেখে যাবেন। ইতিমধ্যে ভঁরা সকলে এসে পড়লেন । তাদের সঙ্গে আর একটা দম্পতি ছিলেন । তঁাদের নাম মিঃ ও মিসেস পুরুষোত্তম দাস ভগবান দাস। মিঃ পুরুষোত্তম দাস ইওকোহামাতে ব্যবসা করেন। এদের সঙ্গে পরিচয় হবার পরে জানা গেল যে, মিঃ পুরুষোত্তমের মা এবং ঠাকুরমার বাড়িতে আমার স্বামী প্ৰথম বিলাত যাবার সময় বোম্বেতে ছিলেন । মিঃ দাসের পিতার সঙ্গে ওঁর তখন পরিচয় হয় নি বটে, কিন্তু তঁর মা ও ঠাকুরমা আমার স্বামীকে খুব আদর যত্ন করেছিলেন। তঁহারা এখন ইহলোকে নাই। পুরুষোত্তম দাসের পিতা জীবিত আছেন, তিনি বোম্বেতে থাকেন। আমাঃ স্বামী যখন এদের অতিথি হয়ে বোম্বেতে ছিলেন তখন এই মিঃ দাস মাত্ৰ ৮১০ বৎসরের বালক । এর মা আমার স্বামী বিলাত যাত্রার সময় জাহাজে এসে অনেক ফুলের মালা ইত্যাদি দিয়ে বিদায় দিতে এসেছিলেন। এদের কথা পুৰ্ব্বে আমার স্বামীর কাছে শুনেছিলাম। কিন্তু এই পরিবারের সঙ্গে যে আবার এই সুদূর জাপান দেশে আমাদের আলাপ পরিচয় হবে তা কখনও ভাবি নাই। ভগবানের আশ্চৰ্য্য রহস্য! মিঃ পুরুষোত্তম দাসের পিতার এখানে বড় ব্যবসা আছে। তারি দেখা শোনা করতে তিনি এখানে এখন আছেন। সুলতান সিংর এবং পুরুষোত্তম দাসীরা সকলেই নিরামিষ-ভোজী। সে জন্য তঁরা হােটেলে নিরামিষ লাঞ্চল প্ৰস্তুত করতে বলে গিয়েছিলেন।