পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岱心盘 জাপানে বঙ্গনগরী ইংরাজি বলেন না এবং আমি তার কথা বুঝলাম না তথাপি তার কথাবাৰ্ত্তার যে একটা আশ্চৰ্য্য শক্তি আছে, তা বেশ অনুভব করা গেল । এ দেশে এসে এই প্রথম বুঝলাম যে ইংরাজি ভাষা না বলতে পারলেও লোকে মুৰ্থ বলে গণ্য হয় না। এরা নিজেদের ভাষার মৰ্যাদা বােঝেনিজের ভাষাই আসল। তবে ইংরেজরাও যেমন নিজের ভাষার পরে অন্য ভাষা শিক্ষা করে, এরাও তেমনি নিজের ভাষা আয়ত্ত করে ইংরাজী, ফরাসী বা জাৰ্ম্মান ভাষা শেখেন। মারাকুইস ওকুমা এত বুড় লোক, কিন্তু ইনি ইংরাজি ভাষা মোটেই জানেন না । কিন্তু জ্ঞানে তিনি ইংরাজি ভাষায় সুপণ্ডিত অনেক লোকের চেয়েই বড়। আমার ছেলেটকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। মারাকুইস অনেকগুলি খেলনা আনিয়ে তাকে দিলেন এবং বল্লেন যে, তিনি ছেলেপিলে খুব ভালবাসেন। তঁর স্ত্রীর শরীর অসুস্থ বলে তঁর সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিতে পারলেন না । মার্কুইসের সঙ্গে প্রায় দু ঘণ্টা আমাদের আলাপ হলো । তারপর আমরা তঁর কাছে বিদায় নিলাম। বিদায় নেবার সময় হস্ত মর্দন করলাম না, নমস্কার করলাম ; তাতে তিনি খুব সন্তুষ্ট হলেন। জাপানের মন্দিরে যারা পূজা দিতে যায় তারা বুদ্ধের মূৰ্ত্তির সম্মুখে টাটু গেড়ে মাথা মাটিতে ছুইয়ে প্ৰণাম করে। সে জন্য আমাদের নমস্কারের মানে মারুকুইস বুঝেছিলেন এবং আমরা তঁকে নমস্কার করায় তিনি খুব -খুসী হয়েছিলেন। ওকুমার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষ হলে মিঃ সোয়েজিম আমাদের মারকুইসের ' } বাগান ও বাড়ির নিচের ঘরগুলি সব দেখালেন। হট হাউসে আম ও লিচুর গাছ আছে; তাতে দুচারটা ফলও ফলে রয়েছে দেখা গেল। এদেশে খাম লিচুর গাছ। সচরাচর হয় না। অন্য দুএকটী ভারতীয় গাছও