পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী è e ভাবে কখনো সাহায্য করেছেন বলে শুনি-নি। বরঞ্চ বিদেশীদের নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে হাসি ঠাট্টা বিদ্রুপ পৰ্য্যন্ত করতে দেখেছি। এখানেই আমাদের উপর জাপানিদের ভদ্রতা শেষ হলো না। প্লাটফৰ্ম্মে যখন আমরা ট্রেণের জন্য অপেক্ষা কবছিলাম তখন একটি জাপানি| ভদ্রলোক এসে আমাদের সঙ্গে আলাপ করলেন ও কোন ট্রেণে যেতে হবে সব বলে দিলেন। বল্লেন, তিনি ভারতবর্ষে গিয়েছিলেন। আমরা ইলেক্‌টুক্‌ ট্রেণে উঠলাম। এগুলি ঠিক অন্য ট্রেণেরই মত, কেবল গাড়ির সংখ্যা কম থাকে, এবং ট্রাম গাড়ির মতো বিদ্যুতের জোরে চলে। ইয়োকোহামা পৌছতে প্ৰায় এক ঘণ্টা লাগল। আমরা রিকশ ভাড়া করে সোজা পি এণ্ড ও কোম্পানির আফিসে গেলাম। আমাদের বোম্বাই থেকে প্যাসেজ পাওয়ার খবর এসেছে কি না খোেজ নেওয়া হল। কোম্পানির লোক বল্পে, নাগাৎ সোমবার খবর পাওয়া যাবে। ; আমরা ইয়াকোহাম থেকে সিলোন দিয়ে ইংলণ্ড যাবার প্যাসেজ পাওয়া যাবে কি না তারও খোজ নিলাম। তারা বল্লে, সব বুক করা হয়ে গেছে, কোথাও জায়গা নেই। তার পরে আরো পাঁচ-ছটা জাহাজেব আফিসে গিয়ে সন্ধান করা গেল, সব জায়গাতেই একই কথা-জায়গা নাই । একটা বড় আশ্চৰ্য্য ব্যাপার নজরে পড়ল, যে সব অফিসে জাপানি কৰ্ম্মচারী ছিল, তাদের সবাই বেশ হেসে হেসে ভদ্রতার সঙ্গে বল্পে “জায়গা নাই”। কিন্তু যে তিনটে অফিসে ইউরোপীয় কৰ্ম্মচারী ছিল, তাদের কি মেজাজ ! আচ্ছা বাপু, প্যাসেজ দিতে পারবে না। তাই বল্লেই হয়, কিন্তু তা না বলে কথায় কথায় তারা মেজাজ দেখায়। জাপানি ও বিলাতি ভদ্রতার তফাৎ এই খানেই। যা হােক সব আফিস ঘোরা গেল। বাকি রইল কেবল N. Y. K. (“নিপন ইউসেন কেইসা” ) ও কনেডিয়ান প্যাসিফিক কোম্পানির অফিস। সে দুটা জায়গায় খোজ করতে গেলাম।