জিাপানে বঙ্গনারী Y byr go ফুল-পাত সহরে বিক্রি করে। কোন জমি ফেলে রাখা হয়না বলে, কৃষকদের বাড়ির কোনো জায়গায় জঙ্গল বা আবর্জনা দেখা যায় না। Economy of space অর্থাৎ স্থানের অনপচয়ের জন্যে বছরে বছরে কৃষি বিভাগ থেকে পুরষ্কার দেওয়া হয় । “এই সব দেখা হলে আমরা সেক্রেটারির বাড়ীতে গেলাম। তিনি চা খাওয়ালেন, দেখলাম তার নিজের একটা ছোটো সাবান তৈয়ারির কারখানা আছে। তাছাড়া তেঁর বাড়িতেই কো-অপারেটিভ সোসাইটির একটা ভাণ্ডার আছে। তিনি নিজে সেখানে কেনা বেচা করেন। দেখলাম, ছোটো ছোটো কাগজে জিনিষের দাম লিথোগ্রাফ করে ছাপিয়ে রাখা হয়েছে। এখান থেকে হেঁটে আমরা গ্রামের বাহিরে এক কৃষিক্ষেত্রে গেলাম। এখানে ঘোড়ায় টানা লাঙ্গলে জমি চাষা হচ্ছে । এই গ্রামে চাষের গরু নেই। চাষের জন্যে সব জায়গায় *গঙ্ক ব্যবহার করা হয় না । ঘোড়া দিয়ে চাষা জমি গুলিতে কৃষকরা লোহার rake দিয়ে নিজের হাতে কাদা করছে। সওয়া শিমের (soya bean) গাছ ও শিমের খোসা সেই কাদার সঙ্গে মিশানো হচ্ছে দেখা গেল। এই সবুজ সারে (green manure ) জমি ভাল হয়। জল সেচনের ব্যবস্থাও সুন্দর। পাঁচ-ছয় মাইল দূরে উঁচুতে যে নদী আছে সেখান থেকে নালা করে জল আনা হয়েছে। কতকগুলি নালা দিয়ে সেই জল প্ৰত্যেক ক্ষেতে যাচ্ছে। কাজ হয়ে গেলে এই জলই আবার তার নীচের আর কতকগুলি নালা দিয়ে নীচের গ্রামগুলিতে যাচ্ছে। মাঠে ক্ষেতগুলি অতি সুন্দর ভাবে সাজানো আছে। কোন ক্ষেতের আইল বাকী নেই। এতে যে কেবল মাঠের সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি হয় তা নয়, ভাল সেচনের *সুবিধা হয়! দেখলাম ক্ষেতে যাবার জন্য রাস্তাও আছে। এই সব রাস্তায় ঠেলা গাড়ি, কোরে সার বীজ ইত্যাদি অনায়াসে ক্ষেতে আনা যায়।
পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।