পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী st চারটা বেজে গেল। 'চারটার পরেই মন্দির বন্ধ হয়ে যায়, তাই আমরা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে, নিক্কোর বাজারটা দেখতে গেলাম। দেখলাম সেখানে অনেক রকম গালার কাজের জিনিষ ও কাঠের জিনিষ বিক্রি হচ্ছে ; আমরা কয়েকটা পিতলের বুদ্ধ, ঘণ্টা বজ ইত্যাদি किन्नाभ। তাছাড়া গালার কাজের ফেম-সুদ্ধ জাপানি ছবি এবং ་་་་་་་་་་་་་་་་་ চায়ের পেয়ালা পরিচও কেনা গেল । r ৩০শে জুন নিকটেই পাহাড়ের উপরে একটা হ্রদ আছে শুনে তাই দেখবার জন্যে আমরা সাড়ে দশটার সময় বেরুলাম। ট্রামে আধা ঘণ্টা খানেক যেতে হল, তারপরে রিকশা করে পাহাড়ে উঠতে লাগলাম। রাস্তাটা বড় খারাপ, তাই মাঝে মাঝে গাড়ি হতে নামতে হচ্ছিল ; কুলির টানতে পায়ছিল না। রাস্তার অনেক জায়গায়। ঝরণা দেখা গেল ; খুব জোরে জল ছুটে চলেছে। এই সব ঝরণার উপরে পোল আছে ; তারি উপর দিয়ে যেতে হয়। সমস্ত রাস্তাটার দৃশ্য অতি চমৎকার। মাঝামাঝি একটা টি-হাউসে থেমে একটু বিশ্রাম করলাম। কুলিদের জলখাবার পয়সা দেওয়া হল । তারা চা ও অন্য খাবার খেলে । আমরা রাস্তায় Kegan fall নামে একটা জল-প্রপাত দেখলাম। সেটা বড় বটে। কিন্তু আমাদের দেশে তার চেয়ে অনেক বড় জল-প্রপাত দেখেছি। বেলা দশটার সময়ে আমরা চুজেনজি হোটেলে পৌঁছলাম, এখানেই হ্রদ আছে। আজ দিনটা বেশ পরিষ্কার, তাই হ্রদের দৃশ্যটাও চমৎকার মনে হল। নিক্কো হোটেল থেকে কুপন দিয়েছিল, সেই কুপন দেখিয়ে আমরা লঞ্চ খেলাম। তার পরে শ্যামপান নিয়ে আমরা প্রায় দেড় ঘণ্টা হ্রদে বেড়ালাম। শামপানে মাদুর পাতা থাকে, তার উপরে বেশ আরামে বসে বেড়ানো গেল। দিনটা বেশ আনন্দেই কাটুলো। •