পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী R 0 V» কিন্তু হােটেলটা ঠিক হ্রদের উপরে বলে দৃশ্যটা সুন্দর। কিন্তু শুধু দৃশ্যে আরাম পাওয়া যায় না, তাই আমার স্বামী আর একটা হোটেল ঠিক করলেন। এখানকার হােটেদের দেনা-পাওয়া চুকিয়ে আমরা সেই হোটেলে গেলাম। কিন্তু এই হোটেলটাও প্রায় আগেকার মত, কেবল ঘরগুলো একটু ভালো। যা হােক কোন গতিকে এখানেই থাকার ব্যবস্থা করা গেল। কিন্তু হাকোনি দেখবার কোন উপায় ছিল না। ;- আকাশ জোড়া মেঘ এবং ঝড়ের মতো হওয়াতে সব মতলব নষ্ট করে দিলে। তাই অগত্যা হোটেলেই দিনটা কাটাতে হল। ७छे चूश् সকালে উঠে দেখি আকাশ মেঘে ও কুয়াসায় ঢাকা। ভারি বিশ্ৰী লাগল। রাস্তায় কাদা; বেড়াতে বেরিয়ে বেশী দূর যাওয়া গেল না। কিন্তু ফুজি পাহাড় দেখার লোভ সম্বরণ করতে পারলাম না, আর একটা দিন। এখানে কাটাতে হল। বিকেলেও আকাশ পরিষ্কার হল না। খবর পাওয়া গেল আমাদের জাহাজ ৯ই জুলাই ছাড়বে না, ১৬ই রওনা হবে। বই পড়ে শেলাই করে কোন রকম দিনটা কাটানো গেল। ৭ই জুলাই আজও সকালে মেঘ করে আছে। সুতরাং ফুজি দেখবার আশা একরকম ত্যাগই করা গেল। ইয়োকোহামাতে ফিরে যাবার বন্দোবস্ত করলাম। ফিরতে ছ’টা বেজে গেল। সেখানে একটা টেক্সিতে জিনিষপত্ৰ বোঝাই দিয়ে বেলমণ্ট হোটেলে এলাম। তেতালায় আমরা দুটা ঘর পেলাম। ৱেশ ঘর, একটাতে খুব হাওয়া খেলে।