পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R G F জাপানে বঙ্গনারী বোধ করলাম। খাবার শেষে আইস ক্রিম ও ফলও ছিল। এদের জাপানি মেয়ে-রাধুনি আছে। সে বেশ ভারতীয় খাবার রাঁধতে শেখেছে দেখলাম। খাওয়া হয়ে গেলে, আরো-কতকগুলি সিন্ধি ভদ্রলোক বেড়াতে এলেন । মিঃ হাসিরাজনির সহকারী ভদ্রলোকটি হারমোনিয়ম বাজিয়ে কয়েকটা গান করলেন। আমাকেও রবি বাবুর ‘অগ্নি ভুবনমন-মোহিনী” গানখানা গাইতে হল। খানিকক্ষণ বেশ আনন্দে কাটানো গেল। তাঁর পরেই আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। বিকালে আমাদের কিছু জিনিষপত্র কিনবার জন্য বাজারে যেতে হয়েছিল। ১২ জুলাই আজও সকালে আমরা দোকানো গেলাম। বিকেলে মিঃ ও মিদেস। পুরুষোত্তম দাস চ খেতে এলেন । চায়ের পরে আমরা তঁদের মোটরে করে ইয়োকোহাম সহরটা দেখতে বেরু লাম। প্ৰথমে আমরা মিঃ হারার বাগান দেখতে গেলাম। এই বাগানের বাড়িটায় আমাদের রবিবাবু কিছুদিন বাস করে গেছেন। বাড়িটা খুব উচুতে, অনেকটা উঠে। তবে বাড়িতে যেতে হয় । আমরা বাড়িতে না গিয়ে কেবল বাগানটাই দেখলাম। বাগানটি বড় সুন্দর, অনেক রকমের গাছ আছে। এখানে পদ্মফুলের গাছও দেখলাম। বাগানের ভিতর দিয়ে হেঁটে একটা ছোটো পাহাড়ের উপরে উঠা গেল । সেখান থেকে সমুদ্রকে বড় সুন্দর দেখাচ্ছিল। দূরে ফুজি পাহাড়ও দেখা গেল। সমুদ্রের হাওয়া আসে বলে এখানে বসবার জায়গা আছে। দেখলাম অনেক জাপানি ভদ্রলোক সেখানে বসে হাওয়া খাচ্ছেন। আমরাও একটু বসলাম । তার পরে নীচে এসে মোটর করে সমুদ্রের ধারে অনেক ঘুরলাম। এদেশের সমুদ্রের ধারগুলি সুন্দর। কিন্তু সেখানে বসবার জন্তে বেঞ্চ, ইত্যাদির বন্দোবন্ত নেই.। ইয়ুরোপে এই রকম জায়গায় কত ব্যাণ্ড 8