পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Revo জাপানে বঙ্গানাহী মেসিয়াম নামে একজন বড় বনিক যাত্রীদের মধ্যে আছেন। এরা কেউ সাংহাই কেউ বা হংকং এ নেমে যাবেন। নৌবিভাগের কৰ্ম্মচারীট মার্শেল পৰ্য্যন্ত যাবেন শুনলাম। বিকেলে জাহাজের দোলানি খুব বেড়ে গেল । আমাদের যেন একটু গা-বমির ভাব হল। জাপানিরা দেখলাম বেশ মিশুক লোক, তারা নিজেরাই এসে আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে লাগল। জাহাজের চাকারগুলো কিন্তু ভাল নয়। শুনেছিলাম। জাপানি জাহাজের চাকর বাকর খুব ভালো, আমার কিন্তু তা মনে হ’ল না । টাকাড নামে যে জাহাজটায় আমরা জাপানে এসেছিলাম। তার চাকর বাকর ভাল ছিল । এই জাহাজে কলের জল পাওয়া যায় না। বাইরে থেকে জল এনে ঢেলে দেয়, শুধু লোনা জল স্নানের জন্য কলে আসে। টাকাডার ষ্টয়ার্ডেস বেশ লোক ছিল। এ জাপানি ষ্টয়ার্ডেন, তেমন নয়। সবে নুতন কাজে লেগেছে সে জন্যে কিছুই জানেন এবং ইংরেজিও ভাল বলতে পারেন । স্নানের জন্য টাকাডাতে অনেক জল দিতা ; এখানে ছোট টবে মাত্র এক টবী জল দেয়। বড় মুস্কিলে পড়েছি। যা হোক কোন রকমে চালাতেই হবে। বিকেলে ফুজি পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য দেখা গেল। মিঃ লেকোস নামে একজন গ্ৰীক ভদ্রলোক আমাদের সহযাত্রী ছিলেন তাঁর সঙ্গে আমাদের আলাপ হ’ল। ডিনারের পরে তিনি আমাকে গান গাইতে অনুরোধ করলেন । কয়েকটা গান গাইতে হ’ল । ১৭ই জুলাই আমাদের জাহাজ কোবের দিকে চলেছে। সাড়ে আটটার সময়ে জাহাজে ব্রেকফাষ্ট খাওয়া গেল। বাইরে এসে দেখি জাহাজের অনেক যাত্রীই মােঝ-সমুদ্রে একটা ছোটাে নৌকার দিকে তাকিয়ে আছেন। দেখা গেল নৌকা থেকে একটা লোক কাপড় উড়িয়ে আমাদের জাহাজের দিকে সঙ্কেত করছে। বোঝা গেল নৌকাটা বিপদে পড়েছে। , সেই সময়ে