পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 8 ዓ জাপানে যন্ধনারী' পাওয়া যাবে না বলে, আমরা ওরিয়েণ্টেল হোটেলে ডিনার খাব ঠিক করেছিলাম। আব্দুল আলিরা তাই শুনে আমাদের হোটেলে খেতে দিলেন না। স্থির হ’ল আব্দুল আলিদের বাড়িতেই আমরা ডিনার খাবো। ডিনারের আগে আবার বাজারে বার হওয়া গেল, দু’চারটা জিনিষ কিিনবার জন্য। ডিনারের সময় দেখলাম আব্দুল আলির ভাইয়ের স্ত্রী এসেছেন। আমরা তিন জন মেয়ে ড্রয়িং রুমে, খেলাম এবং পুরুষের ডাইনিং রুমে খেলেন। খাবার পরে মিঃ আব্দল আলি তাঁর মোটর করে সমুদ্ৰ পৰ্যন্ত আমাদের এগিয়ে এলেন। কিন্তু সমুদ্রের ধারে এসে দেখা গেল লঞ্চ নেই। তাই সামপান নৌকা করে আমাদের জাহাজে যেতে হবে স্থির হোল । আমার স্বামী ভাল জাপানি জানেন না, সে জন্য মিঃ আব্দুল আলি আমাদের সঙ্গে সামপানে উঠে জাহাজ পৰ্যন্ত এলেন। আব্দুল আলিরা বড় ভাল লোক, এরা আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন । ১৯ শে জুলাই আজ সকালে আমার স্বামী কোবে গেলেন, ব্যাঙ্কে ও দোকানে কাজ ছিল । আমি আর বেরুলাম না। ইতিমধ্যে মিঃ কাগাওয়া আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন। আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা হ’ল না বলে খুব দুঃখ করতে লাগলেন। আমার স্বামী লাঞ্চের একটু আগে ফিরে এলেন। চারটার সময় জাহাজ কোবে ছাড়ল । তার আগে ব্যারন হায়াসি এক জন জাপানি মার্কাইস এবং আরো অনেক জাপানি যাত্রী জাহাজে উঠেছিলেন। ব্যারন হায়াসি ইংলেণ্ডের জাপানি রাজদূত (Ambassador) মার্কাইসটি ছেলে মানুষ, বয়স ষোল সতরো হবে। তাঁর নাম “হাচিনুকা” ইনি ব্যারন হায়াসির তত্ত্বাবধানে ইংলণ্ডে পড়াশুনা করতে যাচ্ছেন। একজন মিসনারী ও তঁর স্ত্রীও জাহাজে উঠলেন দেখলাম। যা হোক