পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`ùዬዘçã ♥mስ R 巴甜(平一 আজ বিকেলে আমরা হংকং পৌঁছলাম। অত্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় বেশ শীত পড়েছে। হংকং সমুদ্রের মাঝে একটা দ্বীপ। তাই জাহাজ সেখানে একেবারে গিয়ে লাগে না। হংকংএর অনতিদূরে কইলুন নামে জায়গার জেটিতে আমাদের জাহাজ লাগল। কাইলুন চীন দেশের একটী ছোট অংশ। হংকংএর দৃশ্য সিঙ্গাপুরের মত অতটা চমৎকার নয়। হংকং দ্বীপটাি পাহাড়ে পরিপূর্ণ। প্রথমেই চীনে ধোবাকে কিছু কাপড় ধুতে দিলাম। জাহাজ আসতেই তারা এসে ময়লা কাপড় নিয়ে যায়। সিঙ্গাপুরে ধোবার দর অত্যন্ত বেশী, বারো খানা কাপড় ধুতে দুই ডলার নিয়ে ছিল, উপায় না থাকায় কাপড় ধোয়াতে হ’ল। জাহাজ কাইলুনের জেটিতে পৌঁছতেই আমাদের সহযাত্রীদল অনেকেই নেমে হংকং দেখতে গেলেন। অন্ধকার হতে দেরি আছে দেখে আমরাও হংকংটা একবার দেখবার জন্তে নেবে গোলাম’। ‘জেট পেরিয়ে হংকং ঘাবার খেয়া-ঘাটে যেতে হয়। সেখানে তিন আনার টিকিট কিনে একটী ছোট লঞ্চে বসা গেল। জাহাজটী ঘাঁটে লাগান ছিল। দশ মিনিট অন্তর একটা খেয়ার জাহাজ পাওয়া যায়। পাঁচ সাত মিনিটে হংকং, দ্বীপে পৌছন গেল। হংকং এ পৌঁছে আমরা দুটো রিক্সা ভাড়া নিলাম। জায়গাটা পাহাড়ে। নীচে সমতল জায়গায় দোকান ও সুন্দর রাস্তা আছে। পাহাড়ের গায়ে লোকের ব্যক্তি ঘর। একেবারে উপর। পৰ্যন্ত ঘর বাড়ি আছে। বাড়িগুলিতে রাত্রে আলো জললে দূর থেকে হংকংটাকে বড় সুন্দর দেখায়। পাহাড়টা তারায় খচিত আকাশের মতো মনে হয়। এত দোকান একত্রে খুব কম। দেখেছি। দোকানগুলি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সমতল জায়গাটাতেই শুধু মোটর চলে। সেজন্যে মোটর বেশী নেই। রিক্সা আছে ও ডুগাণ্ডিয়া মত এক রকম যানিও আছে; তাকে ‘সিডেন চেয়ার” -বলে