পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রুপসিন যাঁরা স্নাবৃত, তার সম্মুখে বেদীর নীচে দুই ধারে ঘটী “চেনি” ফুলের গাছ। অনেকেই হয় তা জানেন চেরি ফুলের গাছের জন্য জাপান বিখ্যাত। এই দুটা সেই চেরি ফুলেরই কৃত্রিম গাছ। এত বড় গাছ ঘরের মধ্যে জন্মান সহজ ব্যাপার নয়। গাছগুলি দশ বায় ফিন্ট উঁচু। তাতে ফুল ফুটে আছে, এমন নকল করেছে যে ছাত্র থেকে মনে হচ্ছে যেন আসল চেরিফুল গাছে ফুটে আছে।”। ফুলগুলি গোলাপী রঙ্গের। কতকটা আমাদের দেশের সোনাল ফুলের মত। গাছে একটীঃ পাতা নেই, শুধু স্কুলেই ঢাকা। গাছের উপর ফুলের মধ্যে মধ্যে কাগজেন্ম জাপানী লণ্ঠন ঝোলান আছে। এদেশে চেরিফুল যখন সব গাছে ফুটে থাকে তখন না জানি কত সুন্দর দেখাষা। এই দুটি গাছ তার অনুকরণ মাত্র। কিন্তু তবুও এতে কত সৌন্দৰ্য্য ! বেদির সম্মুখে জাপানি মেয়ের এক একটি ছোট গোল আকারের গদির উপরে তাদের অভ্যাস মত খটু গেড়ে বসেছে। সামনে নীচে একশত দেড়শত মহিলা এক সঙ্গে মেছেজন্ম উপরে দেই রকমে বসেছে। তারপর যাওয়া আসার জন্যে একটু খুড়া ছেড়ে দিয়ে আবার প্রায় তিন শত লোক চেয়ারে বসেছে। এর মধ্যে মেয়ে পুরুষ দুই আছে, ণ্ডবে মেয়ের সংখ্যাই বেশী। ঘরের পিছনের দুই কোণে দুটি নকল “পাইন” গাছ। সামনে চেরিফুলের গাছ গুলি যত বড় পাইন গাছ গুলিও তত বড়। পাইল গাছগুলিকে বিজলির আলো দিয়ে সাজান হয়েছে। সমস্ত ঘরটি অতি পরিপাটী রকমে সজ্জিত। আয়ের মধ্যে এমন পরিপাট করে সাজানো ঘর আমরা খুব কম দেখেছি। এখানে । দেখলাম, আমাদের দেশের সঙ্গে এদের একটি বিষয় খুবই মিলে যায়। আমাদের দেশের ভদ্রমহিলারা কোথাও কিছু দেখতে গেলে যেমন ছেলেপিলে সঙ্গে নিয়ে যান—এদেশের মেয়েরাও তাদের ছেলেপিলে। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। কিন্তু এক ঘরে এত গুলি ছেলেপিলে থাকা ।