পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अश्रिॉटन क्शनी 8 সত্ত্বেও একটু গোলমাল শোনা গেল না। এদের ছেলেপিলেদের বিশেষত্ব যে আমাদের দেশের ছেলেপিলেদের মত তারা কান্নাকাটি বা গোলমাল করে না। এদের মেয়েরাও সব চুপচাপ বসে আছে, বা আস্তে আস্তে কথা বলছে। এরা এত সংযত যে, এত স্ত্রীলোক একত্র বসে আছে অথচ জােরে হাসত্ত্বে বা জোরে কথা বলতে কাউকে দেখলাম্ না । যাদের মায়েরা এ রকম সংঘাত, তারা যে সংযম শিক্ষা করবে: তাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? এরা খুবই কম কথা বলে ; যতক্ষণ বাজনা হচ্ছিল তারা একাগ্র চিত্তে সেই বাজনা শুনছিল। আমাদের দেশের শিক্ষিত মহলেও একত্রিত হলে হাসি ঠাট্টা কথাবাৰ্ত্তায় এত গোলমাল বাধান যে, যে শিক্ষা লাভের জন্য গেছেন বা যা কিছু উপভোগ করবার জন্যে গেছেন তার উপর অনেক সময় দৃষ্টিষ্ট থাকে না। আর আমাদের শিশুরা অকারণে বা সামান্য কারণে । কান্নার রোল তোলে। এই জন্যে আজ কলকার আধুনিক মাতারা পাশ্চাত্য মাতাদের অনুকরণে কোনও সন্মিলনীতে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে যান না এবং সেই কারণেই অনেক মাতাকে আমোদপ্রমোদ ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। আমরা যে দিন জাপানি-মাতাদের মত সংযত হয়ে সন্তানদের সংযম শিক্ষা দিতে পারব, সেই দিন আমাদের দেশও উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে । ধা হোক, এখন বেদির উপর কি হচ্ছিল তাই বলি। আগেই বলেছি বেদিটী লঙ্গিন কাপড়ে সজ্জিত ছিল। প্ৰথমে পৰ্ব্বদা উঠতেই চার পাঁচটি ছোট মেয়ে ও একজন ওস্তাদ “কোতো” নামে এক রকম জাপানি তারের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে লাগল। বাদ্যযন্ত্রটি আকারে অনেকটা ইংরিজি “হাৰ্পে'র মত কিন্তু যন্ত্রটি মাটিতে রেখে দুহাতে বাজাতে হয়। এক হাতে তার টিপে সুর বের করে ও অন্ত হাত দিয়ে একটি হাতির দাঁতের “মিজোরাফ” দ্বারা তারে আওয়াজ করে। “মিজরাফের” ব্যবহারটা