পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেশানে এমপ্লাষ্ট্ৰী 8. যে জাপানি ভদ্রলোকটির সঙ্গে আমাদের আলাপ হলো তার একটি নয় বৎসরের কন্যা এই কার্টে যোগ দিয়েছিল। সে একটি বড় মেয়ের সঙ্গে ও ওস্তাদের সঙ্গে বেদির উপর বসে ‘কোতো৷” যন্ত্র ধাজালে। ভদ্রলোকটির নাম মিঃ কাগাওয়া। ইনি কোবেতে একজন বড় সওদাগর, বেশ ভাল। ইংরাজি বলেন। সে জন্যে তঁর কাছ থেকে জাপানি আদব। কায়দা’ রীতি-নীতি অনেক জানা গেল। তাঁর স্ত্রীও এখানে উপস্থিত ছিলেন। তঁর সঙ্গে উনি আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি ইংরাজি ভাষা জানেন না। সে জন্যে তঁর সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারলাম না। তাঁর স্বামীর সাহায্যে তীর সঙ্গে যা দুএকটা কথা বললাম মাত্র। এতগুলি মহিলা ও ছোট বালিকা দেখলাম। কিন্তু একটিও সুন্দরী বলে মনে হলো না। মিঃ কঁগাওয়া বলেন, ওদের মহিলারা প্রায় সবাই শিক্ষিতা। অবশ্য আমাদের দেশের ধারণায় ইংরাজি ন জানলে শিক্ষা হয় না, কিন্তু এদের সে ধারণা নেই। খালি জাপানি ভাষাতেই এরা বেশ শিক্ষিতা হতে পারেন। আগে মেয়েদের সতেরো-আঠারো বৎসর বয়সে বিবাহ হত, কিন্তু আজ কাল শিক্ষা সম্পূর্ণ না হওয়া পৰ্যন্ত অনেকেই বিবাহ করে না। সে জন্যে বাইস-তেইস বৎসরের আগে জাপানি মেয়েদের বিবাহ হয় না। জাপানি মেয়ের প্রায়ই ভিজুমারী থাকে না। 籍 আমরা যতক্ষণ কনসার্টে ছিলাম সকলেই আমাদের খুব আদর যত্ন কম্বুলেন। আমার ছেলেটিকে একটি ছােট্ট মেয়ে এসে কতকগুলি কাগজের পািখ ও স্কুল উপহার দিলে। এদের ভদ্রতায় মুগ্ধ হতে হয়। এতগুলি মহিলা এসে আমার কাছে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু বিদেশী লোক বা ধ্রুয়াশী পোষাক দেখে কেউ বিন্দ্ৰপ হাসিঠাট্ট বা কানাকানি কম্বুলে না।