পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী te কিন্তু বাকি সবই কাগজের টুকরো দিয়ে তৈরী। আমরা বাড়ীতে ঢুকবার আগে সিঁড়ির উপরে আমাদের জুতো খুলে যেতে হ’ল। সিঁড়ির উপরে নানা মাপের জাপানি জুতো (sandal) সাজান রয়েছে। জাপানির ঘরে ঢুকবার আগে জুতা খুলে রেখে যায়, বাহিরে বাবার সময় আবার | তাই পরে বাইরে আসে। তাই এদের ঘরে ময়লা প্রবেশ করতে পারে না। রাস্তায় সব জাপানীরই পায়ে জুতো বা খড়ম থাকে, কিন্তু বাড়িতে ক্ষে হই আমাদের মত জুতো বা খড়ম পায় দিয়ে খটু খটু করে বেড়ায় না। হয় পা খালি রাখে, না হয় এক রকম মোজা পায় দিয়ে ঘরের ভিতর চলা ফেরা করে। ঘরের মেজেটা আমাদের দেশের মাদুরের মত মাদুর দিয়ে সর্ষপ্তটাই ঢাকা। মাদুরটা একেবারে চকচকে পরিষ্কার। ঘরে আসবাব নেই বললেই হয়। আমরা প্রথমে যে ঘরটীতে ঢুকলাম, সেটীতে একটী বইয়ের আলমারি ও একটা গ্রামোফোন আছে ও দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা দুটি কোঁতে যন্ত্র আছে; সে গুলি আবার সুন্দর কাপড়ের চাক্‌না দিয়ে চাকা । 'বাস। এ ঘরে আর কিছুই নেই। তার পরে, এরই পাশের ঘরে আসাব নেই বললেই চলে। মেজেতে মাদুরের উপর চারখানি গোল গদি আমাদের জন্য পাতা রয়েছে মাত্র। দেয়ালের গায়ে একটা বড় ফুলঙ্গি; তারি মধ্যে একখানি ছবি টাঙ্গান আছে। ছবিটি একটী জাপানি যুদ্ধের পোষাক। ছবির নীচে মাটিতে একটা থালার আকারের দিল্লিষে জল রেখে তার মধ্যে ফুল সাজানো স্ট্রয়েছে, দেখলে মনে হয়ু ধেন ফুলগুলি জলে ভাসছে। বাহুল্য বৰ্জিত করে ঘর দুয়ার সাজানো জাপানিদের একটা বড় বিশেষত্ব। কতকগুলো হাবাজা গোৰজা জিনিসে ঘর - বোঝাই হলে, আমরা মনে করি বুঝি খুব সুন্দর করে ঘর সাজানো হয়েছে। কিন্তু জাপানির তা মনে করে না—তাদের মতো সৌন্দর্ঘ্যের সমাজধায় জাতি বোধ করি এ পৃথিবীতে আর একটি নেই। এদের ঘয়।