পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গ নারী «ዓቂ፡ খুব শস্ত ক্ষেত্ৰ। মাঠের প্রায় সব জমি চাষ করা হয়েছে4J পড়া জমি নাই বল্পেই হয়। দূরে পাহাড় দেখা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে, বীশের বাগান আছে কিন্তু এরা বঁাশের ঝাড় হতে দেয় না । এক একটা{ বঁাশ আলাদা হয়ে রয়েছে। মিঃ নাকতানি বল্লেন, ওঁদের দেশে বড় হতে দেওয়া হয় না। কারণ ত’তে বঁাশ মোটা হয় না। সে জঙ্ক নীচের কচি বঁাশগুলি ওরা কেটে ফেলে এবং সে গুলি ওরা তরকারি করে খায়। এদের সব কাজেই কেমন একতা আছে। তা না হলে কি দেশের এত উন্নতি হয়! আমাদের দেশে বঁাশ মোটা হলো কিনা তা দেখবার জন্য কে মাথা ঘামায় ? সে জন্য আমাদের দেশে সব জিনিসই শীর্ণ ও দুর্বল হয়। শস্তে ভরা মাঠ ও তারি মাঝে ছোটো ছোটো গ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা চলেছি। জায়গায় জায়গায় ফুলের বাগান ও সংজির চাষ। চারদিকে সমৃদ্ধি ও উন্নতির চিহ্ন দৃষ্ট হচ্ছে। গাড়ি চার পাঁচটা ষ্টেসনে থামলো, আবার চললো। কেউ নামলো, কেউ উঠলো, কিন্তু চেচামেচি হাক ডাক মোটেই নাই। ষ্ট্রেসনে চা, ফল, খাবার জিনিস ইত্যাদি বিক্ৰী কয়ছিল। যেমন আমাদের দেশেও করে । চা জাপানি ধরণে তৈরী, এক একটা মাটীর চা-দানীতে চা আছে, ঘঙ্গে একটা ছোট বাটি আছে, চা পান করুবার জন্য। সব শুদ্ধ চায়ের দাম বেশী নয়, অনেকেই এই ক্ষা পান কালো r এরা খুব চা খায়। ষ্টেশনে ভাত তরকারিও কিনতে পাওয়া যায়। কার্ড-বোর্ডের বাক্সে তা বিক্রি হয়। অনেক পুরুষ ও স্ত্রী ফাস্ত্রী তাই কিনে গাড়িতে বসে হাতে রেখে চপষ্টক দিয়ে খেতে *ািগল; ঐ প্রথমে দেখলে এই ভাত ও শুকান তরকারি খেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু একাধাের যে জাপানি তরকারি থেয়েছে, সে কখনই লোভ করবে না ! ম, গুজরায়া গ্ৰায় দশটার সময় কিয়োটো, পৌঁছলাম। সেখানে নামতেই লোকে "আমাকে ই করে দেখতে-বাগােল,--“আমার পরিচ্ছদ চোেখ ।