যুবক ইংরেজ বন্ধু পিয়ার্সন এবং মুকুল সহর দেখ্তে বেরিয়ে গেলেন। জাহাজ একেবারে ঘাটে লেগেচে। এই জাহাজের ঘাটের চেয়ে কুশ্রী বিভীষিকা আর নেই—এরি মধ্যে ঘন মেঘ করে বাদলা দেখা দিলে। বিকট ঘড়ঘড় শব্দে জাহাজ থেকে মাল ওঠানো নাবানো চল্তে লাগ্ল। আমি কুঁড়ে মানুষ, কোমর বেঁধে সহর দেখ্তে বেরনো আমার ধাতে নেই। আমি সেই বিষম গোলমালের সাইক্লোনের মধ্যে ডেক্-এ বসে মনকে কোনোমতে শান্ত করে রাখবার জন্যে লিখ্তে বসে গেলুম।
খানিক বাদে কাপ্তেন এসে খবর দিলেন যে, একজন জাপানী মহিলা আমার সঙ্গে দেখা কর্তে চান। আমি লেখা বন্ধ করে একটি ইংবাজি-বেশ-পরা জাপানী মহিলার সঙ্গে আলাপে প্রবৃত্ত হলুম। তিনিও সেই জাপানী সম্পাদকের পক্ষ নিয়ে, বক্তৃতা করবার জন্যে আমাকে অনুরোধ কর্তে লাগলেন। আমি বহু কষ্টে সে অনুরোধ কাটালুম। তখন তিনি বল্লেন, আপনি যদি একটু সহর বেড়িয়ে আস্তে ইচ্ছা করেন ত আপনাকে সব দেখিয়ে আনতে পারি। তখন সেই বস্তা তোলার নিরন্তর শব্দ আমার মনটাকে জাঁতার মত পিস্ছিল, কোথাও পালাতে পারলে বাঁচি,―সুতরাং আমাকে বেশী পীড়াপীড়ি কর্তে হল না। সেই মহিলাটির মোটর গাড়িতে করে, সহর ছাড়িয়ে ররার গাছের আবাদের ভিতর দিয়ে, উঁচু নীচু পাহাড়ের পথে অনেকটা দূর ঘুরে এলুম। জমি ঢেউ-খেলানো, ঘাস ঘন সবুজ, রাস্তার পাশ দিয়ে একটি ঘোলা জলের স্রোত কল্কল্ করে এঁকে বেঁকে