পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখবন্ধ «η একদিন বীণা-পুস্তুক-ধারিণী মা সরস্বতীর নিকট চিরবিদায় লইয়া এক জাপানী সার্কাস ওয়ালার দলে মিশিয়া ভারতের উপকুল-ত্যাগ করিল ; আমরা তাহাকে নিরস্ত করিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্ট্র করিলাম, কিন্তু ক তকাৰ্য্য হইতে পারিলাম না ; সে বলিল, “আমার সঙ্কল্পে তোমরা কেন অনর্থক বাধা দিতেছ ? সংসারে জামার জন্য কাদিবার কেহই নাই ; শৈশবেই মাকে হুরাইয়াছি, বাবা বৃদ্ধ বয়সে বিবাহ করিয়া নূতন সংসার পাতিয়াছেন ; আমার সহোদর বা সহোদরা নাই, সংসার আমি একাকী ; আমি যাহাতে সুখ পাই, তাহাতে বাধা দিও না ; লেখাপড়া শিথিয় আমার কিছু হইবে না, আমি চিরদিন নুতনত্বের উপাসক, নুতন পথে চলিব ; বিদেশে দৈবের বশে, জীবতারা যদি খসে তাহাতে কাহারও কিছুমাত্র ক্ষতি নাই।” 鬱 নলিনী আমার নিকট বিদায় লইবার সময় বলিয়া গিয়াছিল, পৃথিবীতে সে আমাকেই একমাত্র বন্ধু মন্ধুে করে, সে যখন যেখানে থাকিবে, সেখান হইতেই মাসে অন্ততঃ একখানি ও পত্র লিখিবে । কিন্তু সে হার অঙ্গীকার পালন করে নাই; হয় সে আমাকে ভুলিয়। গিয়াছিল, না হয় নান। কার্য্যে পত্র লিখিবার সুবিধা পায় নাই । আমি অনেক সময়েই, বন্ধুবিরহ অনুভব করিতাম, এবং তাহাকে পত্র লিখিবার জন্য মনে বড় আগ্ৰহ হইত ; কিন্তু তাহার ঠিকানা না জানায়, পত্র লিখিতে পারি নাই ; তাহার ভারত-তfীগের পর প্রায় আট নয় বৎসরের মধ্যে তাহার কোনও সংবাদ পাই নাই, আমিও তাহার সংবাদ লইবার চেষ্টা করি নাই । আমি-সংসার-সমুদ্রেeভাসিতে ভাসিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে গিয়া পড়িয়াছিদাম । 爱