পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ’ পরিচ্ছেদ షి আমরাও সন্ন্যাসীর দলে গিয়া বসিলাম ; এবং তাহাদের সহিত একযোগে মন্ত্র আবৃত্তি করিতে লাগিলাম। দেখিলাম এবার সন্ন্যাসীর সংখ্যা পুৰ্ব্বাপেক্ষাও অধিক। অকুমা সাধারণ সন্ন্যাসীর দলে বসেন নাই । তিনি বেদীর উপর মোহাস্তের পাশ্বে আসন গ্রহণ করিঘছিলেন। আমি যেখানে বসিয়াছিলাম, উপাসনা আরম্ভ হইলে, একজন সন্ন্যাসী সেইখানে আসিয়া আমার পশে বসিয়া উপাসনা আরম্ভ করিল। আমি তাহার মুখের দিকে চাহিবা মাত্র চিনিতে পরিলাম, এ সেই চোর । তাহাকে আমার পাশ্বে উপবিষ্ট দেখিয়। আমার মন বড় চঞ্চল হইয়। উঠিল, কিন্তু উপাসনায় এই চোর সন্ন্যাসীর কোন ক্রটি দেখিলাম না ; তাহার মুখ-ভাবের বিন্দুমাত্র ও পরিবর্ত্তন বুঝিতে পারিলাম না, সে একটুও চাঞ্চল্য প্রকাশ করিল না ; যেন সে আমাকে চেনে না, বা আমাকে দেখিতে পায় নাই, এই ভাবে বসিযা রহিল। কিন্তু উপাসনার পর উঠিবার সময় তাহার প্রকৃতির পরিচয় পাইলাম, সে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক ঠক্কর থাইয় এত জোরে আমার গায়ে পড়িল যে, হঠাৎ সেই ধাক্কা সামলাইতে না পারিয়! আমি মাটীতে পড়িলাম। সন্ন্যাসীটা আমার উপরে পড়িয়াছিল, সেই অবস্থাতেই সে আমার দক্ষিণ হাত খানি সজোরে চাপিয়া ধরিয়! আমার আলখেল্লার আস্তিন সরাইয়া ক্ষত চিহ্নটি মুহূৰ্ত্ত মধ্যে দেখিয়া লইল, এবং অর্কুট হর্ষধ্বনি করিয়া উঠিয়া দ্রুতবেগে চলিয়া গেল । আমি কি করিব, কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া ধীরে ধীরে উঠিয়৷ চারিদিকে চাহিতে লাগিলাম ? আমার মনে ভয়ের সীমা রহিল না :- বুঝিলাম, অবিলম্বে মঠ পরিত্যাগ না করিলে আমাদের উভয়েরই মৃত্যু অবগুস্তাবী । •