পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ জাল মোহাস্ত জন্মে, এই ভয়ে আমি আর তাহার কথার প্রতিবাদ করিলাম না, নদীতীরে শিলাখণ্ডে বসিয়া ধূমপানে মনঃসংযোগ করিলাম ; আগন্তুকও নিবিষ্ট চিত্তে ধূমপান করিতে লাগিল। প্রতি মুহূর্তেই আমার আশঙ্ক। হইতে লাগিল, আমাদের অনুসরণকারীরা হয়ত এখনই আসিয়া পড়িবে। আমার মন দুশ্চিন্তায় কিরূপ চঞ্চল হইয়া উঠিল, ভাষায় তাহা প্রকাশ করিবার নহে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে স্বৰ্য্যাস্তের পরও তাহাদের কোন চিহ্ন দেখিতে পাইলাম না । ক্রমে অস্তমিত তপনের শেষ রশ্মিরাগ পৰ্ব্বতের সৰ্ব্বোচ্চ শৃঙ্গে প্রতিফলিত হইয়া শূন্যে বিলীন হইল। পৰ্ব্বতের দীর্বচ্ছায়া নদীর জলে প্রতিফলিত হইল ; এবং সন্ধ্যার উদাম বায়ু-প্রবাহ গিরিগুহায় প্রবেশ করিয়া ক্রদ্ধ দানবের বিকট হাস্তের ন্যায় ভীষণ শব্দ উৎপন্ন করিতে লাগিল ; এবং তাহা গুহায় গুহায় প্রতিধ্বনিত হওয়ায় বোধ হইল, সেই স্তন্ধ সায়াহ্নে শত দানব পৰ্ব্বতের নিভৃত উপত্যকায় সমবেত হইয় অট্টহাস্তে ধরা কম্পিত করিতেছে! আমি তীক্ষ দৃষ্টিতে নদীর পরপারে চাহিয়া দেখিলাম, কিন্তু তখনও জনপ্রাণীকে দেখিতে পাইলাম না। আর যদি দশ পনের মিনিট এই ভাবে কাটাইতে পারি, ও আমাদের অনুসরণকারীরা তখন পর্য্যস্ত, সেখানে উপস্থিত হইতে না পারে,তাহা হইলে আর আশঙ্কার কোনও কারণ থাকিবে না । কিন্তু আর একটি নূতন চিন্তায় আমার যন ব্যাকুল হইয়। উঠিল। অকুমা যদি উট কিনিতে না পাৰ, কিংবা উটের হাওদার নীলবর্ণ আস্তরণ সংগ্ৰহ করিতে না পারেন, এবং কোন কারণে ৰদি তাহার নদীতীরে উপস্থিত হইতে বিলম্ব হয়, তাহা হইলেও