পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి:R জাল মোহাত্ত পর বুঝিতে পারিলাম, অতি বৃহৎ বৃহৎ প্রস্তরখণ্ড পরম্পরের উপর গাথিয়া এই বিরাট পাষাণ হৰ্ম্ম্য নিৰ্ম্মিত হইয়াছে ! কত কাল পূৰ্ব্বে এই মঠ প্রস্তুত হইয়াছে, তাহা নিরূপণ করা সহজ নহে ; কিন্তু দুলভ্য গিরিবেষ্টিত এই অসভ্য দেশের বহুপ্রাচীন যুগের স্থপতিগণের স্থাপত্যনৈপুণ্য দেখিয়া আমার বিস্ময়ের ইয়ত্তা রহিল না ; এমন প্রকাও প্রকাণ্ড প্রস্তরখণ্ড একত্র সন্নিবদ্ধ করিয়া কি কৌশলে তাহারা পৰ্ব্বতের এই উচ্চ উপত্যকায় এইরূপ বিরাট সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিল, এবং কিরূপ রসায়নিক কৌশলে খণ্ড খণ্ড প্রস্তরকে এমন স্থায়ী ভাবে পরস্পরের সহিত আবদ্ধ করিল, তাহ স্থির করিতে পারিলাম না। একটি মুদীর্ঘ দালানের ভিতর দিয়া আমরা কতকগুলি সোপান পার হইলাম ; সহসা আমাদের কর্ণে শ্বত বজ্রনাদের ন্যায় গম্ভীর শব্দ প্রবেশ করিল ! এ শব্দের বিরাম বিশ্রাম নাই। ক্রমাগত শব্দ হইতে লাগিল । যেন মহাপ্রলয়ে পৃথিৰীকে রসাতলে পাঠাইবার জন্য কোথাও কোনরূপ আয়োজন হইতেছে ! এ সকল শব্দ কোথা হইতে কিরূপে উৎপন্ন হইতেছে, তাহ জানিবার জন্য কেবল ষে আমারই কৌতুহল হইল, এরূপ নহে ; অকুমাও ইহার কারণ জানিবার জন্য উৎসুক হুইয়। আমাদের পথপ্রদর্শককে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহা কিসের শব্দ ?” w আমাদের পথপ্রদর্শক এ কথার কোন উত্তর না দিয়া একটি সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া আমাদিগকে একটা গলির মধ্যে লইয়া গেল ; গলির প্রান্তভাগে উপস্থিত হইয়া সে মশালটা সম্মুখ দিকে প্রধারিত করল, এবং আমাদিগকে সেই দিকে চাহিতে বলিল । *