পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৃষ্টি సిరి স্বষ্টিতত্ত্বরূপ মহাবৃক্ষের আগাছা, পরগাছা, শাখাপল্লব ছাটিয়৷ কাটিয়া কেবল কাওটুকু বা মূলটুকু রাখিলে, উল্লিখিত কথা কয়টির অধিক বেশী কিছু থাকে না । জগৎ আছে,—শ্রষ্টার ইচ্ছা ; জগৎ চলিতেছে,—বিধাতার বিধানে ; এই কথাকয়টির উপর বড় বিবাদবিসংবাদ নাই ; ইহা একরকম সৰ্ব্ববাদিসম্মত । কিন্তু আরও অনেক কথা আছে, যাহা সৰ্ব্ববাদিসম্মত নহে । * কেহ বলেন, জগৎ বৃহৎ, প্রকাও, অসীম ; অথচ কেমন সংযত, নিয়মিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ। সুতরাং হুষ্টিকৰ্ত্ত সৰ্ব্বব্যাপী ও সৰ্ব্বশক্তিমান । স্বদূর অতীত সুদূর ভবিষ্যতের সহিত কেমন বাধা ; সুতরাং বিধাতা সৰ্ব্বজ্ঞ | কেহ বলেন, জগৎ কেমন সুন্দর ; সুতরাং স্রষ্টাও সৌন্দর্য্যময় । কেহ বলেন, জগৎ বড় মুখের ; ঈশ্বর করুণাময়। -- আবার কেহ বলেন, জগতে পুণ্যের জয় ; অতএব ঈশ্বর ন্তায়ের নিদান। ইত্যাদি । এইরূপে পাচ জনে পাচ কথা বলেন ও তুমুল কোলাহল করেন। কত হাজার বৎসর ধরিয়া কোলাহল চলিতেছে, কবে নিবৃত্ত হইবে বলা যায় না । কেন না, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ আসিয়া প্রশ্ন উত্থাপন করে, ঈশ্বর সৌন্দর্য্যময়, তবে জগতে কুৎসিতের অস্তিত্ব কেন ? ঈশ্বর করুণাময়, তবে জগতে দুঃখ কেন ? ঈশ্বর দ্যায়ের বিধাতা, তবে দুৰ্ব্বলের পীড়ন কেন ? উত্তর, ও সব শয়তানের কারসাজি । শয়তান ঈশ্বরের বিরোধী ; আহ্রিমান অহুরমজ দের বিরোধী । তবে কি ঈশ্বর সর্বশক্তিমান নহেন ? উত্তর, কেন, শয়তান ত জব্দ আছে ।